পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ পুলিশ কর্মী, জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড থেকে চিকিৎসক, পুনের পোর্শে কাণ্ডে ১৭ বছর ৮ মাসের নাবালককে বাঁচাতে নেমে পড়েছিল সকলে। এবার উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। অভিযুক্তকে বাঁচাতে কিশোরের রক্তের নমুনা ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়। সেই জায়গায় একজন প্রাপ্ত বয়স্কের রক্তের নমুনা পাঠানো হয় ফরেন্সিক ল্যাবে। এই ঘটনায় সাসুন হাসপাতালের ফরেন্সিক দফতরের দুই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত দুই চিকিৎসক হলেন ফরেন্সিক দফতরের প্রধান ডাঃ অজয় তাওড়ে এবং প্রধান মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ শ্রীহরি হারনোর।
পুনের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সাসুন হাসপাতালে যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল এবং ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল, তা আদৌ অভিযুক্ত কিশোরের নয়।” তিনি আরও বলেন, “১৯ মে রাত ১১টা নাগাদ, সাসুন হাসপাতালে কিশোরের রক্তের যে নমুনা নেওয়া হয়েছিল, তা একটি ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। অন্য এক ব্যক্তির রক্তের নমুনা নিয়ে ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। রক্তের নমুনা বদলে দিয়েছিলেন ডাঃ হরি হারনোর। তদন্ত করে আমরা জানতে পেরেছি, সাসুন হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. অজয় তাওড়ের নির্দেশেই এই কাজ করেছিলেন হরি হালনর।”
অমিতেশ কুমার আরও জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার দিন ডা. তাওড়ে এবং অভিযুক্ত কিশোরের বাবার মধ্যে ফোনে কথা হয়েছিল। দুই চিকিৎসকের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর অভিযুক্ত কিশোরের রক্তের দুটি নমুনা দুটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে নেওয়া হয়েছিল। প্রথম রক্তের নমুনায় অ্যালকোহল পাওয়া যায়নি। কিন্তু দ্বিতীয় পরীক্ষায় অ্যালকোহল পাওয়া গিয়েছিল। তাতেই রক্তের নমুনায় কোনও হেরফের করা হয়েছে বলে সন্দেহ জেগেছিল। এরপর, রক্তের নমুনা দুটির ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষায় জানা যায়, নমুনাগুলি এক ব্যক্তির নয়।
উল্লেখ্য, ১৯ মে পুনের পোর্শে এলাকায় বেপরোয়া গাড়ি চালানোর সময় একটি বাইকে ধাক্কা মারে ওই নাবালক। ঘটনায় মৃত্যু হয় দুই বাইক আরোহী ইঞ্জিনিয়ারের। যা ঘিরে সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্য। কিন্তু অভিযুক্ত নাবালক ১৪ ঘণ্টার মধ্যেই একাধিক শর্তে জামিনে মুক্তি পেতেই শুরু হয় প্রতিবাদ। তবে বর্তমানে সেই জামিন বাতিল হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্তের ধনকুবের বাবা ও দাদু।