পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : মেঘালয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভার অনুমতি না মেলায় এই ইস্যুতে নয়া বিতর্ক শুরু হয়েছে মেঘালয়ের রাজনীতিতে। ঘটনায় মেঘালয় ন্যাশনাল পার্টির (এনপিপি) সরকারকে নিশানা করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সম্পাদক ঋতুরাজ সিনহা।
আগামী ২৪ তারিখ মেঘালয়ে নির্বাচনী সভা করতে আসার কথা ছিল নরেন্দ্র মোদির। সেইদিনই রাজ্যের তুরার পি এ সাংমা স্টেডিয়ামে সভা করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সেই সভার অনুমতি মেলেনি। পরিকল্পনা মাফিক মেঘালয় সরকার মোদির সভার অনুমতি দেয়নি দাবি করেছে মেঘালয়ের বিজেপি।
ঋতুরাজ সিনহার কটাক্ষ, এনপিপি অন্যান্য দলগুলি মেঘালয়ে মোদিআতঙ্ক অনুভব করছেন বলেই ইচ্ছাকৃতভাবে তারা জনসভা বাতিল করেছে। তুরায় এই মহাসমাবেশের পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শিলংয়ে রোড শো এবং তুরা, গারো পাহাড়ে জনসভা করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম।
ঋতুরাজ প্রশ্ন তোলেন, সমগ্র দেশ এবং মেঘালয়ের মানুষ জানে যে পিএ সাংমা স্টেডিয়ামটি গত ১৬ ডিসেম্বর নিজেই উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। এই স্টেডিয়ামেই প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম কিন্তু স্টেডিয়ামটি নির্মাণাধীন এবং প্রস্তুত নয় জেনে আমরা অবাক হয়েছি। ঋতুরাজ আরও বলেন, আসলে এনপিপি, তৃণমূল, কংগ্রেসের মতো বিরোধীদলগুলি মোদি ঢেউকে ভয় পাচ্ছে। বিজেপি নেতার দাবি, মেঘালয়ের মানুষ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যের মতো বিজেপি সরকারকেই চায়।
উল্লেখ্য, গারো পাহাড়ের অংশ তুরাকে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার এবং এই অঞ্চল থেকে নির্বাচিত তার বেশিরভাগ বিধায়কের ঘাঁটি বলে মনে করা হয়। ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভার জন্য ভোট ২৭ ফেব্রুয়ারি একক ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গণনা করা হবে ২ মার্চ। মেঘালয়ে বিজেপির-র সঙ্গে জোট ছিল শাসক এনপিপি’র। কিন্তু সেই জোট কার্যত ভেঙে গিয়েছে। সেই রাজ্যের ৬০টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। মেঘালয়ে সভা করতে এসে সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কানরাড সাংমাকে বিঁধেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাহ দাবি করেন, মেঘালয়ে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, এই রাজ্যে গত পাঁচ বছরে কোনও উন্নতি হয়নি।