পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজায় প্রায় দুইমাস ধরে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে যায়নবাদী ইসরাইল। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী হামাসকে নির্মূল করার নামে গণহত্যা চালাচ্ছে ‘যুদ্ধবাজ’ নেতানিয়াহুর সেনা। ইসরাইলি বিমান হানায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। এতে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ বাড়ছে ইসরাইলের বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক সমর্থন হারিয়েছে তারা। ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি সামরিক ঘাঁটিতে সৈন্যদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, ‘বিজয় অর্জন এবং হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত ইসরাইল যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। কোনও কিছুই আমাদের থামাতে পারবে না। আমরা শেষ পর্যন্ত যাবো, বিজয় পর্যন্ত। এর চেয়ে কম হবে না।’ এ থেকেই স্পষ্ট যে, রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলি যুদ্ধবিরতি চেয়ে প্রস্তাব পাস করলেও এই গণহত্যা থামাতে রাজি নন নেতানিয়াহু।
ইসরাইলের বিদেশমন্ত্রীও বলেছেন, আন্তর্জাতিক সমর্থন থাকুক বা না থাকুক গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাবে সেনা। বলেন, ‘এই মুহূর্তে গাজায় যুদ্ধবিরতি হলে সেটি হামাসের হাতে একটি উপহার তুলে দেওয়ার মতো হবে এবং তারা আবারও সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পাবে।’ ইসরাইলের হামলায় গাজায় বিপুল সংখ্যক অসামরিক নাগরিক নিহত এবং চরম মানবিক সংকটের কারণে ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে ইসরাইল। গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। একই সাথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বলেছেন যে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামালার কারণে ইসরাইল আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাচ্ছে। এরই মাঝে, গাজায় চলমান হামলা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক সবচেয়ে তলানিতে এসে ঠেকেছে।
বুধবার গাজায় দখলদার ইহুদি সেনার ওপর বড় আঘাত হানে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ইসরাইলি ফৌজের এলিট গোলান ব্রিগেড ও ‘স্পেশাল রেসকিউ ট্যাকটিক্যাল ইউনিট’-এর ১০ সেনাকে ফাঁদে ফেলে হত্যা করেছে হামাস যোদ্ধারা। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এক কর্নেল এবং এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্তরের অফিসার। বুধবার রাতে হামাসের আল কাসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা গাজার উত্তরে একটি আবাসিক এলাকায় ‘গ্রাউন্ড অপারেশনে’ নিযুক্ত ইসরাইলি সেনার একটি দলকে ঘিরে ফেলে। মূল বাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন একটি ট্যাঙ্ককে উদ্ধার করতে গিয়ে প্রতিআক্রমণের মুখে পড়ে ওই সেনা দলটি। তাদের উপর মেশিনগান এবং রকেট হামলা চালায় হামাস বাহিনী।