পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ চিনে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট। প্রায় প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে। তাই আগেভাগেই সতর্ক হয়েছে ভারত। সংক্রমণ রুখতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই চতুর্থ টিকার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। আর কিছুদিনের মধ্যেই এসে যাবে সেই টিকা। ভারত বায়োটেকের তৈরি এই টিকা সূঁচ ফুটিয়ে নিতে হবে না, এটি নাকে দেওয়ার ড্রপের মতো। তবে কেন্দ্রের ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই টিকা হল দ্বিতীয় বুস্টার যা করোনার নতুন প্রজাতির সংক্রমণ ঠেকাবে। কিন্তু চতুর্থ টিকা কি সবাই নিতে পারবে? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল।
জবাবে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (এনটিএজিআই)-এর প্রধান এনকে অরোরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘নাকে দেওয়ার কোভিড টিকা প্রথম বুস্টার টিকা হিসাবে নেওয়া যেতে পারে। আর যারা ইতিমধ্যেই বুস্টার টিকা নিয়ে নিয়েছে, তাহলে তাঁর এই ন্যাজাল ভ্যাকসিন না নেওয়াই উচিত। যাঁরা এখনও পর্যন্ত প্রিকশন ডোজ নেননি, তাঁদেরই ন্যাজাল ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
ভারত বায়োটেকের তৈরির এই ন্যাজাল ভ্যাকসিনের নাম ইনকোভ্যাক। যা গত সপ্তাহে কোউইন প্যানেল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেভাবে আগের টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া হয়েছিল, সেভাবে কোউইন পোর্টালে স্লট বুক করে এই বুস্টার টিকা নেওয়া যাবে।
এনকে অরোরার মতে, এই টিকা কেবল কোভিডের বিরুদ্ধে নয়, শ্বাসযন্ত্রে আক্রমণ করে এমন যে কোনও ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সফল হবে। ১৮ বছর বয়েসের ঊর্ধ্বে যে কেউ এই টিকা নিতে পারেন। এই টিকা নেওয়ার পর কিছু ক্ষণের জন্য নাক বন্ধ হতে পারে, এ ছাড়া এই ভ্যাকসিনের অন্য কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।