পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাটঃ খাদিম কর্তা অপহরণে নাম জড়িয়েছিল ডি কোম্পানির দাউদ ইব্রাহিম ঘনিষ্ঠ আফতাব আনসারির।২০০১ সালে খাদিম কর্তা পার্থ রায় বর্মন অপহরণের ঘটনায় রাজ্য, দেশ এমনকি বিদেশেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল । তৎকালীন বাম সরকাারের আমলে এই ঘটনায় রীতিমতো রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। পার্থ রায় বর্মণকে অপহরণ করে হাড়োয়া থানার গোপালপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পুকুরিয়া গ্রামে একটি বাড়িতে গোপনভাবে লুকিয়ে রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। প্রায় ১০০ কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল অপহরণকারীরা।
এই ঘটনা রাজ্য পুলিশের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। তদন্তে বেশ কয়েকজন অপহরণকারীর নাম ও দুষ্কৃতীদের খোঁজ পায় পুলিশ। তার মধ্যে বেশ কয়েকজন আসামি যাবজ্জীবন জেল খাটছে ।খাদিম কর্তা পার্থ রায় বর্মনকে অপহরণ করে পুকুরিয়া গ্রামে রাখার মামলায় চার জন আসামী যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। হাড়োয়ার আসামী বছর ৪৮ এর নজরুল ইসলাম, দমদম সেন্ট্রাল জেলে বন্দী ছিল। গত এক মাস আগে প্যারোলে মুক্তি পায়। তারপর বাড়িতে আসে। দুদিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপর ঠিক হয়ে যায়। আবারো মঙ্গলবার ভোররাতে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং হঠাৎই কথাবার্তা বন্ধ হয়ে যায়। পরিবারের লোকজন এবং হাড়োয়া থানার পুলিশ তাকে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃতের কারণ জানতে শুরু হয়েছে ময়নাতদন্ত ।
মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।পুলিশ সূত্রে খবর ঠিক কি কারণে মৃত্যু হয়েছে অভিযুক্ত আসামীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে। মৃত পরিবারের সদস্যদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু না কোনো রহস্য রয়েছে এর পিছনে তার কিনারা করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।