পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ফের ফ্রান্সের এক স্কুলে পোশাক বিতর্ক। এবার জাপানের এক মুসলিম ছাত্রীকে তার দেশের ঐতিহ্যবাহী লম্বা পোশাক ‘কিমোনো’ পরে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হল না। ইতিমধ্যে সেই ছাত্রী ফ্রান্সের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের আদালতে মামলা করেছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ধর্ম ও ধর্মীয় পোশাক নিয়ে বৈষম্য করেছে ফ্রান্স সরকার। এর আগে ফ্রান্সের স্কুলগুলি মুসলিমদের আবায়া ও হিজাবও নিষিদ্ধ করেছে। ফ্রান্সের হিজাব-বিরোধী অবস্থান দেশটির মুসলিম সমাজে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিলেও সরকার সিদ্ধান্ত বদল করেনি। এখনও সেদেশের স্কুলগুলিতে হিজাব বা বোরকা পরিহিতাদের ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। তবে এবারের ঘটনাটি একটু আলাদা। এবার জাপানিদের ঐতিহ্যবাহী লম্বা পোশাক ‘কিমোনো’ পরার কারণে যাঁকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হল না তিনি লিয়ন শহরের বিদ্বেষ, বৈষম্য ও অসহিষ্ণুতা বিষয়ক বিশেষ দূত অশ্বিনি কে.পিকে-র কাছে এ বিষয়ে অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন। জানা যায়, সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ ওই জাপানি শিক্ষার্থীকে কিমোনো পরিধানের জন্য স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। জাপানি শিক্ষার্থীর অভিযোগটি তাঁর আইনজীবী নবিল বউডির মাধ্যমে রাষ্ট্রসংঘের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এক্ষেত্রে ফরাসি শিক্ষামন্ত্রী গ্যব্রিয়েল আত্তালের উদ্যোগে নেওয়া আবায়া নিষেধাজ্ঞার কথা তুলে বলা হয়েছে, ফ্রান্স সরকার মহিলাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য রুখতে এখনও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের মুসলিমদের ওপর চাপ প্রয়োগের নীতি নিয়েছে ফ্রেঞ্চ প্রশাসন। দেশের মসজিদ ও মাদ্রাসায় মুসলিমদের ওপর নজরদারি শুরু হয়েছে। বিভিন্ন শহরে ইসলামিক সেন্টারগুলিতে তালা ঝোলানো হয়েছে। এমনকি নবী সা.কে অবমাননায় ‘শার্লি এবদো’ যেসব ব্যঙ্গচিত্র ছাপছে সেগুলিকে ‘বাকস্বাধীনতা’ বলে সমর্থন করেছে ম্যাক্রোঁ সরকার। আসলে, ফ্রান্সে মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার ছিনিয়ে নিতে সবরকম চেষ্টাই চলছে।