পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ‘হিংসা কোনও সমস্যার সমাধান নয়। একতা বজায় রাখুন। যারা হিংসা ছড়াচেছ তারা দুষ্কৃতী। এদের পরিকল্পনা সফল হতে দেবেন না।’ হরিয়ানায় হিংসা নিয়ে ফতেহপুর মসজিদের ইমাম ডা. মুফতি মুহাম্মদ মোকাররম আহমেদের বয়ান প্রকাশ্যে এসেছে।
তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখের, এ নিয়ে যতই দুঃখ প্রকাশ করা হোক তা কম। তবু গঙ্গা-যমুনার তেহজিব এদেশের অনেক বড় শক্তি। এটা বজায় রাখা আমাদের সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দেশে সৌহার্দ্য এবং ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখা এ পরিস্থিতিতে খুবই প্রয়োজনীয়।’
তিনি আরও বলেন, শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তিদের যোগ্য জবাব দিতে হবে। সাধারণ হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিষ্টান সকলেই শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে চায়।
মোকাররম বলেন পুলিশ প্রশাসনের উচিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। তিনি সহিংসতার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, আমাদের ক্ষতি করতে পারে এমন উদ্দেশ্য ও ষড়যন্ত্র থেকে সাবধান থাকতে হবে। নূহ-র সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন আইন হাতে তুলে নেবেন না, শান্তি বজায় রাখুন।
নূহ আওয়াজ দ্য ভয়েসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অল ইন্ডিয়া সুফী সাজ্জাদানশীন কাউন্সিলের সভাপতি নাসিরুদ্দিন চিস্তি আবেদন করেন, বিশ্ব আমাদের ঐক্যের উদাহরণ দেয়। একে নষ্ট হতে দেবেন না। যে কোনও ধরনের সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করুন। সংঘর্ষ কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। একত্রিত থাকুন। এটা আমাদের সকলের স্বার্থে প্রয়োজনীয়। শান্তি বজায় রাখুন। আধিকারিকরা নিষ্ঠা এবং সততার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করুন এবং জনগণকে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এটাই আমাদের উন্নয়নের পথ, দেশের উন্নয়নের পথ। মনে রাখতে প্রতিটি ধর্মই শান্তির বার্র্তা দেয়। এখানে হিংসা, হত্যার কোনও স্থান নেই। আমার আন্তরিক আবেদন অন্তর থেকে ঘৃণা দূর করুন, কারণ এটিই ধ্বংসের কারণ।
হরিয়ানা সহিংসতা এবং মহারাষ্ট্রে চলন্ত ট্রেনে পুলিশকর্মী এবং তিন যাত্রীকে গুলি করে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন কাজী শহর মুফতি আফরোজ আলম কাশমী ।
তিনি বলেন, এ ধরনের সহিংসতা দেশের জন্য বিপদজনক। যারা আইন হাতে তুলে নেয় তাদের সতর্ক করে তিনি বলেন, আইনের বিরুদ্ধে গেলে আইন তাদের রেহাই দেবে না। তিনি জনগণের কাছে আবেদন করেন, এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে বিক্ষুব্ধ হবেন না।
উল্লেখ্য, সোমবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নুহতে ব্রজমণ্ডল যাত্রা বের করেছিল। এই মিছিলে রেওয়ারি, গুরুগ্রাম, পানিপথ, রোহতক, ভিওয়ানি, নানৌল, ঝাজ্জার, ফরিদাবাদ সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ পা মেলায়। মিছিল দুপুর নাগাদ তিরঙ্গা পার্ক এলাকায় পৌঁছলে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে কথা কাটাকাটি থেকে সহিংসতা শুরু হয় নূহে। এই সহিংসতার প্রভাব গুরুগ্রামেও ছড়িয়ে পড়ে।