পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ইরানের জাতীয় সেনাবাহিনী বা রেভ্যুলিউশনারি গার্ড দাবি করেছে, উচ্চপর্যায়ের বহু কর্মকর্তার পর এবার প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে হত্যার পরিকল্পনা করছে ইসরাইল। তেহরানকে রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল করে তোলার লক্ষ্যে তারা এ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে আইআরজিসি জানায়, ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা (মোসাদ) ইরানের রাজধানী তেহরানের বাইরে কোথাও রাইসিকে হত্যা করার পরিকল্পনা করছে। এর মাধ্যমে তারা ইরানকে অস্থিতিশীল করে তুলে জাতীয় অর্থনীতির পতন আশা করছে।
ইরানি গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর প্রকাশ পাওয়ার পর প্রেসিডন্ট রাইসি রাজধানীর বাইরে তার সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন। ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে ইরান এবং অন্য দেশগুলোর মধ্যে আলোচনা অব্যাহত থাকার সময় তেল-আবিব বারবার হুমকি দিয়ে আসছিল, তেহরান যদি তার পারমাণবিক কর্মসূচি অব্যাহত রাখে তাহলে তেহরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট গত কয়েক মাস ধরে বারবার এ হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় দেশের যে চুক্তি হয়েছিল বরাবরই তার তীব্র বিরোধিতা করে এসেছে ইসরাইল। তেল-আবিবের দাবি, এর মাধ্যমে ইরান ধীরে ধীরে তার পরমাণু লক্ষ্যে পৌঁছে যাচ্ছে। তবে ইরানের দাবি, দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পরমাণু কর্মসূচি চালানো হচ্ছে।
এ দিকে ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ দুই শহর তেল আবিব ও হাইফাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ইরানের এক জেনারেল। ইসলামি প্রজাতন্ত্রের স্থল বাহিনীর কমান্ডার কিয়োমার্স হেইদারি বলেছেন, ‘শত্রুরা কোনও ভুল করলে আমরা তেল আবিব এবং হাইফাকে সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেব। আমরা সামরিক সরঞ্জাম মজুত করেছি কেবল শত্রুদের বোকামিপূর্ণ আচরণ ও পদক্ষেপ মোকাবিলা করার জন্য।’
ইরানি সেনাবাহিনীর স্থল ইউনিটের এ কমান্ডার আরও বলেছেন, জায়নবাদীরা মুসলিমদের যেসব ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে আগামী ২৫ বছরের মধ্যে সেগুলো আবার মুসলিমদের হাতে ফিরে আসবে।