পারিজাত মোল্লা: বৃহস্পতিবার কলকাতার সিটি সেশন কোর্টে রেশন দুর্নীতি মামলার শুনানি চলে। তবে এদিন সশরীরে নয়,ভার্চুয়াল শুনানিতে ছিলেন ‘অসুস্থ’ বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি হেফাজতে থাকাকালীন বারবার নিজেকে অসুস্থ বলে দাবি করেছেন রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর বাম হাত ও পা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন। মৃত্যুর আশঙ্কাও করেছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী।
এদিন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের রিপোর্টেও তাঁকে ‘আনফিট’ বলেই উল্লেখ করা হয়েছে।সে কারণে সশরীরে আদালতে হাজিরাও দিতে পারেননি তিনি। ভার্চুয়াল শুনানিতে কাতর আর্জি জ্যোতিপ্রিয়র। বললেন, ‘স্যার , আমাকে বাঁচতে দিন।’জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে বিচারক এদিন প্রশ্ন করেন, ‘কী সমস্যা হচ্ছে আপনার?’ প্রতুত্তরে ধৃত মন্ত্রী তাঁর শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি(জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) বলেন, ‘আমি আইনজীবী। কলকাতা হাইকোর্ট ও ব্যাঙ্কশাল কোর্টের সদস্য। পায়ের সমস্যা হচ্ছে। সাড়ে তিনশোরও বেশি সুগার। হাত-পা কাজ করছে না।’ এর পরই বিচারকের কাছে কাতর আর্জি তাঁর, ‘স্যার , আমাকে বাঁচতে দিন।’
তাঁকে কার্যত থামিয়ে দিয়ে কথা বলতে শুরু করেন বিচারক। বলেন, ‘আপনি নিজেকে যখন আইনজীবী হিসেবে দাবি করছেন, তখন নিশ্চয়ই জেল এবং আদালতের এক্তিয়ার সম্পর্কে অবগত। একজন আইনজীবী হলে আপনার বুঝে যাওয়া উচিত।
‘জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবীও শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেন। বলেন, ‘উনি সুস্থ নন। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত। সুপারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানান বিচারক। সেলে খাট এবং টেবিল দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। যদিও বিচারক বলেন, ‘সেটা জেলের এক্তিয়ার।’ আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।