পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ পুর নির্বাচনে বিজেপি এবার ৩৯৫ জন মুসলিম প্রার্থীকে টিকিট দিয়েছিল। ফলাফল ঘোষণার পর ৬০-এর বেশি মুসলিম প্রার্থী জয়ী হয়েছে। এরমধ্যে কাউন্সিলর পদের জন্য ৩৫৮, নগর পঞ্চায়েত সভাপতি পদের জন্য ৩২ এবং নগরপালিকা সভাপতি পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য পুর নির্বাচনে মুসলিমদের টিকিট বিতরণ শুধুমাত্র ‘প্রতীক’ ছিল।
পুরোটাই লোক দেখানো। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা অনুযায়ী পঞ্চায়েত সভাপতি পদে ৫ মুসলিম প্রার্থীর কেউই জয়ের মুখ দেখতে পারেননি। নগর পঞ্চায়েত সভাপতি পদের ৩২ প্রার্থীর ৫ জন জয়লাভ করেছেন। কাউন্সিলর পদ প্রার্থী ৩৫৮ জনের মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন মোট ৫৬ জন। আরও ওয়ার্ড থেকে খবর আসা বাকি রয়েছে ফলে জয়ীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান সংখ্যালঘু মোর্চার সদস্যরা।
উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি কুনওয়ার বাসিত আলি জানান, এবারের পুর নির্বাচনে বহু মুসলিম প্রার্থীই বিজেপির টিকিটে লড়তে চেয়েছিলেন, তিনি বলেন, দল ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’-এর নীতি পালন করে যে কারণে বেশি বেশি করে মুসলিম সম্প্রদায় থেকে প্রার্থী নির্বাচনের চেষ্টা করে। বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার পক্ষে আলি জানান, মুসলিম বহুল এলাকায় বিজেপি প্রার্থীর জয়ে পরিষ্কার বিজেপি সম্পর্কে মানুষের কোনও ‘সন্দেহ’ নেই।
যদিও বাবা সাহেব আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান শশীকান্ত জন্য, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির পদক্ষেপ নিছকই ‘প্রতীক’ ছিল। তিনি বলেন, মুসলিমদের মধ্যে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বলা এইমুহূর্তে তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে টিকিট বিতরণের বিষয়টা শুধু টোকেনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়র রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা অসমর বেগ বলেন, বিজেপি ইউপিতে মেয়রের ১৭ পদের জন্য কোনও মুসলিমকে টিকিট দেয়নি। তিনি বলেন, মুসলিমদের কাছে দলটির আউটরিচ অনেকটাই অধরা, কারণ তারা সরকারের নিম্নস্তরে মুসলিমদের প্রার্থী করেছে। তবে দলের এই প্রচেষ্টা উদানপন্থী অংশগুলির মধ্যে পয়েন্ট স্কোর করতে সহায়তা করে যেখানে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ রয়েছে।
উল্লেখ্য ৪ মে এবং ১১ মে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন পুরসভায় মোট ১৪,৬৮৪টি পদের জন্য দুটি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ১৭টি মেয়র পদ, কাউন্সিলর পদের জন্য ১,৪২০ পদ, সিটি কাউন্সিলের ১৯৯ পুর সভাপতির পদ, ৫,৩২৭ পুরসভার সদস্য পদ, নগর পঞ্চায়েত সভাপতির পদ ৫৪৪ এবং নগর পঞ্চায়েত সদস্যের ৭,১৭৭টি পদ।