পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক:
‘ব্রিদলাইজার’ টেস্টে কেউ মদ্যপ কিনা ধরা পড়ে।ট্রেন চালকদের এই টেস্ট দিতে হয়।শুক্রবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব রাজ্যসভায় এক তথ্য পেশ করেছেন।সেই তথ্যে দেখা যাচ্ছে,বিগত পাঁচ বছরে অ্যালকোহলের মাত্রা মাপার শ্বাস-প্রশ্বাসের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন বহু ট্রেন চালক। ১৭০০ জনের বেশি ট্রেন চালক ব্রিদলাইজার টেস্টে মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়েছেন। যার মধ্যে বেশিরভাগই হলেন মালগাড়ির ট্রেন চালক।
রাজ্যসভায় ভারতীয় জনতা পার্টির আইন প্রণেতা সুশীল কুমার মোদীর প্রশ্নের উত্তর প্রসঙ্গে এদিন মন্ত্রী বলেন, “পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়া লোকো পাইলটদের ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হয় না এবং নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” সেক্ষত্রে মালগাড়ির ট্রেন চালকেরা বেশি মদ খেলেও প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন যাত্রীবাহী ট্রেনের চালক টেস্টে ব্যর্থ হন।
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ গত পাঁচ বছরে মোট ৮,২৮,০৩,৩৮৭ টি ব্রিদলাইজার পরীক্ষা করেছে। যার মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেনের চালক ছিলেন ৬৭৪ জন এবং ১০৮৭ জন মালগাড়ির ট্রেন চালক সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। ২০১৪ সালে রেলওয়ে সমস্ত লোকো পাইলট এবং তাদের সহকারীদের কাজের ডিউটি শুরুর আগে ব্রিদলাইজার টেস্ট বাধ্যতামূলক করে। সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার মাধ্যমেই চালকদের রক্তে অ্যালকোহল মিশে রয়েছে কিনা ধরা পড়ে।
বৈষ্ণব বিভিন্ন রেলওয়ে শাখার ব্রিদলাইজার পরীক্ষার একটি হিসাবনিকাশও তুলে ধরেছেন। মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, উত্তর রেলওয়েতে সবচেয়ে বেশি ব্রিদলাইজার টেস্ট করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৫২১ জন চালক পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। একেবারে ভিন্ন চিত্র দেখা গিয়েছে দক্ষিণ মধ্য রেলওয়ের ক্ষেত্রে। এই শাখায় মাত্র ৭৩ জন ট্রেন চালক পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন।
নিয়ম অনুযায়ী, ব্লাড অ্যালকোহল কনটেন্টের (বিএসসি) মাত্রা প্রতি ১০০ মিলি রক্তে ১-২০ মিলিগ্রামের মধ্যে হলে ড্রাইভারের সার্ভিস রেকর্ডে নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। আর যদি এই পরিমাণ ২১ মিলিগ্রাম বা তার বেশি হয় তবে ওই চালককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।