পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আজ সোমবার পুরনো সংসদেই শুরু হয়েছে বিশেষ অধিবেশন। চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। মঙ্গলবার থেকে নতুন সংসদ ভবনে শুরু হবে বিশেষ অধিবেশন। জি ২০ আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলন থেকে চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন মোদি। সংসদে ইতিবাচক পরিবেশ যাতে বজায় থাকে, তা নিয়েও বার্তা দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে ভারত। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তোলাই লক্ষ্য। মোদি বলেন, নতুন সংসদে নতুন বিশ্বাস নিয়ে যাব, যাতে সাধারণ মানুষের কাছে গণতন্ত্রের বার্তা পৌঁছয়। এই সংসদ ভবনকে আমি প্রণাম জানাই। ঐতিহাসিক এই ভবনটিকে আমরা সবাই বিদায় জানাচ্ছি। এদিন সকালেই অধিবেশন শুরুর আগেই ভারতের সাফল্য নিয়ে বিশেষ বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার আগে এই ভবনটি ইম্পেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল ছিল। স্বাধীনতার পর এটি সংসদ ভবনের পরিচিতি লাভ করে। এটা ঠিক যে এই ভবনটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত বিদেশি শাসকদের দ্বারা নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আমরা কখনও ভুলতে পারি না যে এই ভবনের নির্মাণে পরিশ্রম করেছিলেন ভারতীয়রা। এই ভবন তৈরিতে যে অর্থমূল্য খরচ হয়েছে তা আমার দেশবাসীর। নেহরুজির বক্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে’, সংসদে বললেন মোদি।
এদিন মোদিকে তাঁর পূর্বসূরিদের সম্মান করতে দেখা যায়। মোদি বলেন, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু এবং তাঁর মন্ত্রিসভার প্রশংসা করলেন। ইন্দিরা গান্ধির আমলের জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মোদি বলেন, ‘এই সংসদ ভবন যেমন জরুরি অবস্থা দেখেছে, তেমনই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত হতেও দেখেছে। এই সংসদ বাংলাদেশের মুক্তির জন্য ইন্দিরা গান্ধির পাশে দাঁড়িয়েছিল। সংসদের ভাষণে তাঁর পূর্বসূরিদের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু, লালবাহাদুর শাস্ত্রী।
তিন প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের কার্যকালে হারিয়েছে সংসদ। মোদি চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য তুলে ধরে বলেন, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, আমাদের বিজ্ঞানীদের সম্ভাবনা এবং দেশের ১৪০ কোটি মানুষের শক্তির সঙ্গে যুক্ত এটা। আজ আমি আবারও আমাদের বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানাতে চাই।’ সংসদের এই বিশেষ অধিনবেশনে আরও ৮টি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী।