পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দেশে ক্রমশই আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করছে মাঙ্কিপক্স। মঙ্গলবার কেরলে পঞ্চম আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। গত ২ আগস্ট কেরলে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। দিল্লিতেও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মাঙ্কিপক্স আতঙ্ক। রাজধানীতে তিনজন সংক্রামিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রক জানিয়েছে ২০২২ সালের, ৩১ মে পর্যন্ত ভারতে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের কোনও রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তবে অন্যান্য দেশগুলির অবস্থা দেখে ভারতে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বুধবার গাইডলাইন প্রকাশ করা হল।
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে মাঙ্কিপক্স এড়াতে কী করণীয় এবং কী করণীয় নয় তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যদি কেউ সংক্রামিত ব্যক্তির সঙ্গে দীর্ঘসময় বা বারবার যোগাযোগ করে থাকেন, সরাসরি সংস্পর্শে এসে থাকেন তিনি ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।
সংক্রামিত ব্যক্তিকে অন্যদের থেকে আলাদা থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে রোগটি ছড়িয়ে না পড়ে। এর জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, সাবান ও জল দিয়ে হাত ধোয়া, মাস্ক দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা এবং রোগীর কাছাকাছি থাকাকালীন ডিসপোজেবল গ্লাভস দিয়ে হাত ঢেকে রাখা এবং জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংক্রামিত ব্যক্তিদের সঙ্গে বিছানাপত্র, জামাকাপড়, তোয়ালে শেয়ার করতে বারণ করা হয়েছে। সংক্রামিত ব্যক্তিদের জামাকাপড়ের সঙ্গে সুস্থ ব্যক্তির জামা কাপড় না ধোয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দেহে উপসর্গ দেখা দিলে ভিড়, জমায়েত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত বা সন্দেহভাজনের তালিকায় থাকা ব্যক্তির সঙ্গে খারাপ আচরণ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে গুজব বা ভুল তথ্যে কান না দেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দেশে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে এই ভাইরাস মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে কেন্দ্র। এই টাস্ক ফোর্স দেশে ডায়াগনস্টিক সুবিধা সম্প্রসারণের বিষয়ে এবং রোগের জন্য টিকা সংক্রান্ত বিষয়েও সরকারকে সাহায্য করবে।
মাঙ্কিপক্স প্রথম খোঁজ পাওয়া যায় ১৯৫৮ সালে। বাঁদরের থেকে এই ভাইরাস এসেছে বলে এর নাম হয় মাঙ্কিপক্স। তবে স্মল পক্সের সঙ্গে এই ভাইরাসের সাদৃশ্য থাকলেও মাঙ্কিপক্স অত ক্ষতিকর নয়।