পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গাজায় কাতার সদর দফতরে ইসরায়েলি বোমারু হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দেশটির বিদেশ মন্ত্রণালয়। ওমান বলছে, হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সেই সঙ্গে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, মিশর এবং জর্ডন সহ উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ এবং ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা এই বোমারু হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সোমবার এই হামলা চালায় ইহুদি বাহিনী। কাতারের সদর দফতর গাজার পুনর্গঠনে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করছে।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার বিবৃতিতে দোহার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কাতারের সদর দফতরে দখলদার বাহিনীর নির্লজ্জ আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে ‘দখলদার ইসরাইলের’ আগ্রাসন বন্ধের আহবান জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় এই হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করেছে। সেইসঙ্গে মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সাধারণ নিরীহ মানুষ সহ স্থানীয় বাড়ি-ঘরগুলির উপর আক্রমণ চালানো ইসরাইলের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে কাতার বিদেশ মন্ত্রক ইসরাইলকে যুদ্ধ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর যুক্তি খাড়া করতে নিষেধ করেছে।
কাতারের বিদেশ মন্ত্রক আরও বলেছে, গাজায় ইসরাইলের দীর্ঘ আগ্রাসনে সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন। সেই দুর্ভোগ কমাতেই বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ চালাচ্ছে এই কমিটি। গাজায় অবিলম্বে ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক কম্যুইনিটির কাছে আহবান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত এক বিবৃতিতে কাতার কমিটির সদর দফতরে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে। কুয়েতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ও বোমা হামলার নিন্দা করে একে ‘অপরাধ’ এবং ‘জঘন্য কাজ’ বলে বর্ণনা করেছে। পাশাপাশি ওমান, মিশর, জর্ডন বিদেশ মন্ত্রক ইসরাইলি হামলাকে নিন্দনীয় যুদ্ধপরাধ বলে উল্লেখ করেছে।
উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের মহাসচিব জসিম মুহাম্মদ আল-বুদাইউই ইসরাইলি হামলাকে চরম বর্বরতা বলে উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি গাজা স্ট্রিপে সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলা সহ কাতার সদর দফতরে ইসরাইলি বোমারু হামলার নিন্দা জানিয়েছে অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ১১,২৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তার মধ্যে বেশিরভাগ নারী ও শিশু। প্রায় ১২০০ ইসরাইলির মৃত্যু হয়েছে।