ইনামুল হক, বসিরহাট: বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া অকাল ঘূর্ণিঝড় মিধিলির সরাসরি প্রভাব বঙ্গে না পড়লেও ঘূর্ণিঝড়ের জেরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপে জেরবার রাজ্যের সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকাগুলি। মিধিলির জেরে সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া ও ইলশেগুড়ি বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে ধান চাষ।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের দিকেই বাঁক নিয়েছে মিধিলি। কিন্তু বাংলাদেশ ঘেঁষা বসিরহাটের সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় মিধিলির জেরে যেভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়েছে, তাতে পাকা ধানে মই দেওয়ার অবস্থা। বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ১ ও ২ নং ব্লক, হাসনাবাদ, মিনাখাঁ সহ ছটি ব্লকের কৃষকদের মাথায় হাত। ঋন পরিশোধের আশঙ্কায় সুন্দরবনের কৃষকরা। ঝোড়ো হাওয়ায় বিঘার পর বিঘা ধানের ক্ষেতে যেভাবে পাকা ধানগুলি ভেঙে পড়ছে তাতে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা।
ইতিমধ্যে নবান্নর তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জেলাশাসক ও সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, ঝড় বা বৃষ্টিতে যত সম্ভব ফসলকে রক্ষা করার জন্য। তার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার সবকিছু গ্রহণ করার। যদিও বিপুল পরিমাণে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন চাষীরা। শুধুমাত্র ধান নয়, শীতকালীন সব্জি যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, নতুন আলু, ওলকপি, বিট ও গাজরের মতে সব্জিগুলো ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে বৃষ্টি হওয়ার দরুন। ফলে স্বভাবতই দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে সুন্দরবনের কৃষকদের মধ্যে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বেবি ঘোষ জানিয়েছেন, প্রশাসনিক ভাবে আমরা ইতিমধ্যে কৃষকদেরকে সতর্ক করেছি। ইতিমধ্যে কৃষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে যেন কাটা ধান সুরক্ষিত জায়গায় তুলে রাখে। তার জন্য পর্যাপ্ত ত্রিপলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যথাযথ কাগজপত্র পঞ্চায়েত অফিসে জমা দিলে তা খতিয়ে দেখা হবে। ক্ষতিগ্রস্তরা অবশ্যই ক্ষতিপূরণ পাবে। সরকার তাদের পাশে আছে। এছাড়া যাদের কিষান বীমা করা হয়েছে, তারাও সুবিধা পাবেন।