পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্র বদল আনতে চলেছে ফৌজদারি আইনে। আজ অর্থাৎ ৬ নভেম্বর গৃহীত হতে পারে বদলের বিল। কিছু বিরোধী সদস্য এই বিল নিয়ে অধ্যয়নের সময় চেয়েছিলেন। ফলে গত ২৭ অক্টোবর, স্বরাষ্ট্র সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি তিনটি খসড়া প্রতিবেদন গ্রহণ করতে পারেনি। সেই সময় কিছু বিরোধী সদস্য প্যানেল চেয়ারপার্সন ব্রিজ লালকে তার মেয়াদ তিন মাস বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছিলেন। সমবেতভাবে তাঁরা বলেছিলেন, স্বল্পমেয়াদী নির্বাচনী লাভের জন্য এই বিলগুলিকে বুলডোজ করা বন্ধ করুন। ১১ আগস্ট বিলগুলি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কমিটির কাছে পাঠানো হয়, তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। সোমবার ফৌজদারি আইন প্রতিস্থাপনের জন্য তিনটি বিল যাচাই-বাছাই করে একটি সংসদীয় কমিটি খসড়া প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য বৈঠকে বসবে।
সূত্র জানিয়েছে যে প্যানেল বিরোধী দলগুলির কিছু সদস্যের প্রতিবাদ সত্ত্বেও খসড়া প্রতিবেদনগুলি গ্রহণ করতে পারে।
ফৌজদারি আইনের সম্পূর্ণ সংশোধনের দাবিতে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাদল অধিবেশন চলাকালীন লোকসভায় ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি) প্রতিস্থাপনের জন্য তিনটি বিল পেশ করেছিলেন। ১৮৬০ সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ দিয়ে। ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ (ফৌজদারি দণ্ডবিধি) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ দ্বারা এবং ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ (ভারতীয় সাক্ষ্য আইন) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য বিল’-এ। তার পরেই বিল তিনটি সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।