পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: উত্তর প্রদেশের মথুরার শাহী ঈদগাহ মসজিদে সার্ভে করার জন্য কমিশন নিয়োগের রায় দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। শাহী মসজিদ কমিটি সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে পিটিশান দাখিল করে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট কমিশন নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। ফলে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের সার্ভে করার পরিকল্পনার জের ধাক্কা খায় লোকসভা ভোটের আগে। তবুও হাল ছাড়েনি তারা।
জ্ঞানভাপি মসজিদের মতো সায়েন্টিফিক সার্ভে করিয়ে উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা চলছিল কোনও কোনও মহল থেকে। কট্টরবাদীদের ধারনা ছিল বারানসিতে জ্ঞানভাপিতে সার্ভে করিয়ে মুসলিম পক্ষকে কিছুটা কোনঠাসা করানো সম্ভব হয়েছে। এলাহাবাদ হাইকোর্ট এমনকি সুপ্রিম কোর্টও ১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল আইন প্রযোজ্য নয় এই মামলায় মনে করেছে। ফলে তারা কেউই সার্ভেতে বাধা দেয়নি।
তাই বারানসির মতো মথুয়াতেও একই ভাবে সার্ভে করার দাবী জোরালো হতে থাকে। তবে মসজিদ কমিটির একমাত্র ভরসা আদালত। সার্ভে কমিশন নিয়োগ হবে কিনা সেটা ঠিক করে দেবে সুপ্রিম কোর্ট। তাই মথুরা মসজিদ মামলায় আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল কমিশন নিয়োগ নিয়ে স্থগিতাদেশ বৃদ্ধি করা হচ্ছে আগস্ট মাস পর্যন্ত। পরবর্তী শুনানী রয়েছে মূল মামলার ৫ আগস্ট।
সেই শুনানীর দিন পর্যন্ত সার্ভে কমিশন নিয়োগের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে ছিলেন বিচাপতি সঞ্জিব খান্না এবং বিচারপতি দীপংকর দত্ত। তবে জমি সংক্রান্ত বা অন্যান্য এই সংক্রান্ত মামলা হাই কোর্টে যেমন চলছে তেমনই চলতে থাকবে তার উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হল না।
হাইকোর্ট ইতিপূর্বে নিজ উদ্যোগে এই মসজিদ ও কৃষ্ণজন্মভূমি বিতর্ক মামলার সব আর্জি একই সঙ্গে শুনবার রায় দেয়। সেই রায়কেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল মসজিদ কমিটি ও সেন্ট্রাল সুন্নি মুসলিম ওয়াকফ বোর্ড। সুপ্রিম কোর্ট তার উপর স্থগিতাদেশ দিতে চায়নি। শীর্ষ কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে হাই কোর্টে মামলা যেমন চলছে তেমনই চলতে থাকবে।