পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শীত পড়তে না পড়তেই ফের করোনার বাড়-বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফের নতুন মাস্কবিধি জারি হল কর্নাটকে। রাজ্যের ৬০ উর্ধ্ব প্রবীণ ব্যক্তিদের মধ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করল সরকার।
সেই সঙ্গে যাদের কমোর্বিডিটিস, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের মাস্ক পরে থাকতে হবে। কোনও ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে করাতে হবে শারীরিক পরীক্ষা।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুণ্ডু রাও সাংবাদিকদের সামনের কর্নাটক সরকারের নির্দেশ সম্পর্কে জানান। সোমবার সরকার এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ৬০ বছরের বেশি বয়সের ব্যক্তিদের মাস্ক পরে থাকার নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কমোর্বিডিটিস, সর্দি-কাশি-শ্লেষ্মা, জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দিলে মাস্ক পরে থাকতে হবে। সম্প্রতি প্রতিবেশী রাজ্য কেরলে এক ব্যক্তির দেহে করোনার উপ ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ শনাক্ত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাও আরও জানিয়েছেন, অযথা উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। সরকারের তরফে ইতিমধ্যে আমাদের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি প্রধান ডাঃ কে রবির সঙ্গে একটি বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে প্রস্তত থাকতে বলা হয়েছে। কোদাগু, দক্ষিণ কন্নড়, চামরাজানগরের মতো সীমান্ত জেলাগুলিতে আরও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপসর্গ ধরা পড়লে, তাদের পরীক্ষা বাধ্যমূলক। সরকার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে, অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দু-একদিনের মধ্যে আমরা জানতে পারব সংক্রমণ বাড়ছে কি না। পজিটিভ কেসের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে, সেই অনুযায়ী পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হবে। এখন নিজে থেকে কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রয়োজন নেই। কেরলের আয়াপ্পা তীর্থযাত্রীদের উপর কোনও বিধিনিষেধ থাকবে কিনা, সে প্রশ্নের উত্তরে রাও বলেন, এখনও পর্যন্ত মানুষের চলাচল এবং জমায়েতের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে সমস্ত হাসপাতালে একটি মক ড্রিল করা হয়েছে। মন্ত্রী আরও বলেন, শয্যা সংখ্যা, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন সরবরাহ, মাস্ক,পরীক্ষা এবং পিপিই কিটগুলির সংখ্যা পরীক্ষা করা হয়েছে। জরুরি ক্ষেত্রে মজুদ রাখতে বলা হয়েছে। সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং তালুক ও জেলা হাসপাতালে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।