পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হরিয়ানার নুহের সহিংসতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় হিংসা-কবলিত এলাকায় মসজিদে ও মাঠে জুম্মার নামায না পড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নুহ সোহনা এবং গুরুগ্রামের মুসলিমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানায় মিডিয়া। গুরুগ্রামের জমিয়তে উলামার সভাপতি মুফতি সালিম কাসেমির এক ভিডিয়োবার্তা ছড়ানো হচ্ছে। তাতে বলা হয়েছে, বর্তমান সঙ্গীণ পরিস্থিতি বিচার করে মুসলিমরা যেন বাইরে মসজিদে বা মাঠে জুম্মার নামায পড়তে না আসেন। মুফতি কাসেমি আবেদন করেছেন সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখতে হবে। মাওলানা বলেন, আমি অনুরোধ জানাচ্ছি যারা মসজিদের মধ্যে রয়েছেন তারাই কেবল ভিতরে নামায পড়ুন। বাইরে থেকে কেউ মসজিদে জুম্মার জন্য আসবেন না। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
উল্লেখ্য, বুধবার হিন্দু ও মুসলিম নেতারা পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই মুহূর্তে পাবলিক প্লেসে জুম্মার নামায যেন পড়া না হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলেম-উলেমাদের কছে আবেদন জানানো হয়েছে, তাঁরা যেন শুক্রবার নিয়ে মুসলিমদের অনুরোধ জানান বর্তমান পরিস্থিতিতে নামাযের জন্য বাইরে না আসতে। আলেমরাও এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে ভিডিয়োর মাধ্যমে অনুরোধ করেছেন। যদিও, ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে। তবুও প্রশাসনিক মদদে এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে মুসলিম মহল্লাতে।
আরও উল্লেখ্য যে, গুরুগ্রামে বেশ কয়েকটি মসজিদে হামলা হয়েছে গত কয়দিনে। একটি মসজিদের নায়েবে ইমামকে হত্যা করেছে গেরুয়া বাহিনী। নুহের হিংসা সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এ পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে আর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রচুর ঘরবাড়ি, দোকান, সম্পত্তি। সেনা নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এই অবস্থায় কট্টরবাদী হিন্দু গোষ্ঠীর আবেদন গ্রহণ করে হরিয়ানা প্রশাসন মুসলিমদের কাচে জুম্মার নামায পড়ার জন্য বাইরে না বের হওয়ার প্রস্তাব দিলে নিরুপায় হয়ে মেনে নিতে বাধ্য হন মুসলিম নেতারা। এসপি বরুণ সিংলা মুসলিম নেতাদের কাছে আবেদন জানালে তাঁরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আগামীকাল বাইরে জুম্মার নামায বন্ধ রাখতে।