পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ প্রাথমিকে ভুল প্রশ্ন কাণ্ডে হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ভুল প্রশ্ন নিয়ে পর্ষদ সভাপতিকে হাইকোর্টে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ ভট্টাচার্য। সেই নির্দেশমতো সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ হাজিরা দেন মানিক ভট্টাচার্য। সেখানেই পর্ষদ সভাপতিকে আদালত তীব্র ভর্ৎসনা করে বলে অবিলম্বে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এজলাসে মামলা চলাকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে বলেন, বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় গত দুবছর আগে নির্দেশ দেওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত কেন সেই নির্দেশ মানা হয়নি। যদি আদালতের নির্দেশ অমান্য করেন, তাহলে পরবর্তীতে এই পদে আসবেন তারা তারা কি আগামী দিনে নির্দেশ মানবে? এদিন আদালত পর্ষদ সভাপতিকে বলেন, যাদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় দিয়েছিলেন, তাঁদের অবিলম্বে নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এই বিষয়ে কোনও দেরি চলবে না।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের দিকে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশে জানান, প্রাথমিকে টেটের অন্তত ছয়টি প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তরগুলি হয় ভুল ছিল, না হলে প্রশ্নেই গলদ ছিল। তাই ওই প্রশ্নগুলির উত্তর দিলেই ফুল মার্কস দেবে প্রাথমিক বোর্ড। মার্কস দেওয়ার পর ক্যাটাগরি অনুযায়ী টেট উত্তীর্ণ হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতামান পার হলেই পরীক্ষার্থীদের চাকরি দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করতে হবে।
২০১৮, ২০১৯,২০২০ তিনবছর অনেক আইনি লড়াই পর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ মেনে নেয় প্রাথমিক বোর্ড। পায়েল বাগ সহ অনেক পরীক্ষার্থী আদালত অবমাননার অভিযোগে কোর্টের দ্বারস্থ হন। কেন আদালতের নির্দেশে মেনে তিন বছরেও আদালতের নির্দেশে কার্যকর করতে পারেনি পর্ষদ? সেটা জানতেই এবার পর্ষদ সভাপতিকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেই মতো আদালতে হাজিরা দেন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য।