পারিজাত মোল্লা: প্রায় ১৮০ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত মঙ্গলকোট ব্লক এলাকা। হাসপাতাল বলতে নুতনহাট এবং সিঙ্গতে রয়েছে। মাথরুণ সংলগ্ন সিঙ্গত হাসপাতালে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন থাকলেও স্বাস্থ্যকর্মীদের অভাবে পরিষেবা অমিল। এদিকে মঙ্গলকোটের সদর শহর নুতনহাটে ব্লক হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল এই ব্লকের বেশিরভাগ বাসিন্দা। এমনকি সীমান্তবর্তী বীরভূমের নানুরের অনেক বাসিন্দা এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। খাতা-কলমে এই ব্লক হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়ন ঘটলেও বাস্তবিক ক্ষেত্রে চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। ততকালিন বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর বিধায়ক তহবিল থেকে ব্যাপক অর্থ বরাদ্দকৃত হয়ে বর্তমানে আধুনিক হাসপাতালের রুপ নিয়েছে ব্লক হাসপাতালটি।বর্তমান বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীও পরিকাঠামোগত উন্নয়নে তৎপর। তবে বিএমওএইচ পদে যিনি এসেছেন। তাঁকে হাসপাতালে দেখা যায়না বলে অভিযোগ রোগীদের। খাতা-কলমে হাজিরা থাকলেও তিনি সপ্তাহে একবেলা আসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী জানিয়েছেন, ‘বিএমওএইচ সাহেব হাসপাতালের কোয়াটারে থাকেন না। কোয়াটারে অন্য বহিরাগতরা থাকেন। হাসপাতালের সামনে এক ল্যাব মালিকের সহযোগিতায় কলকাতা থেকে গাড়ি করে বর্ধমান শহরে আসেন চেম্বার করতে’। রোগীদের অভিযোগ, ‘সরকারি ডাক্তাররা হাসপাতালের বাইরে কোথায় রক্ত পরীক্ষা করতে হবে, কোথায় ঔষধ কিনতে হবে সবই বলে দেন। তাছাড়া বিভিন্ন ল্যাবের কর্মীদের হাসপাতালের প্রতিটি জায়গায় অবাধ বিচরণ করতে দেখা যায়।’ এ বিষয়ে বিএমওএইচ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।