ইনামুল হক, বসিরহাটঃ দুর্গাপুজোর পর কালীপুজোও নজর কেড়েছে সীমান্ত থেকে সুন্দরবন এলাকাতে। বিভিন্ন থিমের কালীপুজো তুলে ধরা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যাবেলা থেকে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। নির্দিষ্ট দূর থেকে দেখার সুযোগ থাকলেও করোনা নিষেধাজ্ঞা মণ্ডপে প্রবেশের। বসিরহাটের নবোদয় সংঘ ও গুঞ্জন ক্লাব এবার তাদের পুজোর নজর কেড়েছে। চন্দননগরের বহু প্রাচীন আলোকসজ্জা ও মণ্ডপ রীতিমতো নজর কেড়েছে।
অন্যদিকে ঐতিহাসিক শহিদ তিতুমীরের স্মৃতি ধরে রাখতে জলের উপর ভাসমান বাঁশের কেল্লা বানানো হয়েছে। পাশাপাশি নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে যে স্বাধীনতার লড়াই তার বিভিন্ন প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে। পুরো মণ্ডপটাই যেন তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা। ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ, লাঠি, বল্লভ, বার্নিশ তেল। মন্ডপে নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে লড়াই সেই ছবি তুলে ধরা হয়েছে।
ক্লাব সম্পাদক কল্যাণ বসু বলেন, আমরা প্রতিবছরই বসিরহাটে মানুষকে কালীপুজোর নতুন নতুন ভাবনা চিন্তা দেওয়ার চেষ্টা করি। যেহেতু শহিদ তিতুমীর একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। আমাদের পাশের ব্লক বাদুড়িয়ার নারকেলবেরিয়া গ্রামে তার যুদ্ধক্ষেত্র। তাই আমরা শহিদদের স্মৃতি দীপাবলির মধ্যে দিয়ে স্মরণ করি। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জানানো আমাদের মূল উদ্দেশ্য। এই মণ্ডপ উদ্বোধন করেন বসিরহাট মহকুমা শাসক মৌসম মুখার্জি, বসিরহাট পুলিশ জেলা ট্রাফিক ডিএসপি নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য, বসিরহাট১ বিডিও, বসিরহাট পুরসভার পুর প্রশাসক অসিত মজুমদার সমাজসেবী অমিত মজুমদার প্রমুখ।