পুবের কলম প্রতিবেদনঃ পুজোর মুখে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে যাতে সাধারণ মানুষকে বিপদে পড়তে না হয় তাই বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে বৈঠকে বসলেন মমতা। আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, এবার থেকে ১৫ দিন অন্তর এসএসকেএম-এ স্বাস্থ্য দফতর নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। সেইমতো এদিন বিকেল চারটে নাগাদ রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে এসএসকেএম-এ পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। এসএসকেএম হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ এবং আবাসনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এবং এসএসকেএমের অধিকর্তারা। বৈঠক শেষ করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে একাধিক বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নার্সদের দায়িত্ব এবং সম্মান বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। তাঁদের পদোন্নতি নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি গ্রামীণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসা পরিকাঠামোতেও বড় বদলের ঘোষণা করেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যের বহু নার্স অনেক দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন। তাঁদের জীবনটাকেই হাসপাতালের সঙ্গে জুড়ে ফেলেছেন। তাঁদের সম্মান, দায়িত্ব বৃদ্ধি করতে, উৎসাহিত করাতে নার্সদের ক্ষমতায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বহু নার্স ভালো কাজ করছেন। তাঁদের প্র্যাকটিশনার নার্স পদে পদোন্নতি করা যেতে পারে। ‘সাধারণত রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থায় সিস্টারদের জন্য ‘প্র্যাকটিশনার’ পদটি একেবারে নতুন। রাজ্য বহু দিন ধরেই মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদেরও নার্স হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এবার সেই ব্যবহার আরও বাড়ানো হবে বলেও এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন চিকিৎসকদের অভাব মেটাতে ‘কোয়াক ডাক্তার’দের ব্যবহারের কথা বলেন মমতা। কোয়াক ডাক্তাররা গ্রামে গ্রামে গিয়ে কাজ করতে পারেন। ওঁরা ডাক্তার হিসেবে নয়, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রাথমিক কিছু নির্দেশিকা মেনে কাজ করবেন বলে জানালেন মমতা। একইসঙ্গে তিনি জানান আবারও আগামী ১৬ তারিখ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। সে দিন ৫টি মেডিক্যাল কলেজকেই বৈঠকে ডাকবেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।