পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী ও এনসিপি নেতা নবাব মালিককে (৬২) বেআইনি আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগ গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দক্ষিণ মুম্বইয়ে ইডি’র আঞ্চলিক দফতরে আজ, বুধবার কমপক্ষে ৭ ঘণ্টা জেরার পরে গ্রেফতার করা হয় মন্ত্রী ও এনসিপি নেতা নবাব মালিককে।
নবাব মালিক আজ উপস্থিত গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে চিৎকার করে বলেন, ‘মাথানত করব না। ভয় পাই না। লড়াই করব এবং জিতব। সত্যটা সকলের সামনে আনব।’
এদিকে, নবাব মালিক গ্রেফতার হওয়ার পরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী নেতারা এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছেন।
উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টির (এসপি) প্রধান অখিলেশ যাদব আজ বলেন, ‘যখন বিজেপি আতঙ্কিত হয়, তখন তারা এজেন্সিকে কাজে লাগায়। গ্রেফতার করে বিজেপি মানুষকে অপমান করে। মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠায়। বিজেপি’র লোকেরা সবকিছু করতে পারে।
অন্যদিকে, শিবসেনা এমপি প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেছেন, ইডি, সিবিআই, পাকিস্তান এবং দাউদ ইব্রাহিম বিজেপির হাতিয়ার। সময়ে সময়ে তাদের ব্যবহার করা হয়।
শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘অপব্যবহার’ করা হচ্ছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিষয়টি সকলেরই জানা আছে। মহারাষ্ট্রে কী ঘটছে তা দেখছে গোটা দেশ। এটি আইনের লড়াই এবং রাজনৈতিক লড়াইও। আমরা দুটি যুদ্ধই লড়ব।
তিনি আরও বলেন, একেক জন কর্মকর্তার স্বরূপ উন্মুক্ত করব। নবাব মালিক মহারাষ্ট্রের ক্যাবিনেট মন্ত্রী। তিনি সত্যি কথা বলেন। মহারাষ্ট্র সরকারের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ। বিজেপিকে টার্গেট করে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের পরে আপনাদেরও তদন্ত করা হবে।
মহারাষ্ট্র এনসিপি প্রধান এবং রাজ্যের মন্ত্রী জয়ন্ত পাটিল বলেছেন, নবাব মালিককে কোনও পূর্ব তথ্য ছাড়াই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বিগত কিছুদিন ধরে বিজেপি নেতাদের স্বরূপ উন্মোচন করেছিলেন, সেজন্য এখন প্রতিশোধ নেওয়া হচ্ছে।
এনিসিপি নেত্রী সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে ওই ঘটনাকে মহারাষ্ট্রের অপমান বলে মন্তব্য করেছেন।