পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ মহারাষ্ট্রে স্থানীয় নগর পালিকা ভোটে জয়জয়কার সেই কংগ্রেস– এনসিপি ও শিবসেনা জোটের। যে আসনগুলিতে এই তিন দলের জোট হয়েছে সেখানে বড় জয় তো এসেছে– পাশাপাশি বেশ কিছু আসনে আলাদা আলাদা লড়েও তারা ভালো ফল করেছে। তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে বিজেপি। উল্লেখ্য, সামনেই ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে এই ফল থেকে স্পষ্ট বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হয়নি।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১০৬টি নগর পালিকায় নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নগর পঞ্চায়েত ও সরকারি সমবায় নির্বাচনও। তাতে দেখা গিয়েছে– ২৫টি পঞ্চায়েত এনসিপির দখলে যাচ্ছে। কংগ্রেসের দখলে ১৮টি ও শিবসেনার দখলে যাচ্ছে ১৪টি। আর পদ্মের ঝুলিতে যাচ্ছে ২৪টি অর্থাৎ– ৫৭টি পঞ্চায়েত এনসিপি-শিবসেনা-কংগ্রেস জোটের দখলে গিয়েছে। আর বিজেপি মোট পেয়েছে ২৪টি পঞ্চায়েত। যে এলাকায় কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনা জোট করে ভোটে লড়েছে সেখানে তারা বিজেপিকে বিরাট মার্জিনে পরাজিত করেছে। অর্ধেকের বেশি পঞ্চায়েতে তারা বড় মার্জিনে জয় পেয়েছে। সব থেকে বড় কথা ১–৮০২টি আসনের মধ্যে এনসিপি পেয়েছে ৩৭৮ আসন। শিবসেনা ৩০১টি আসন আর কংগ্রেস ২৯৭টি আসন পেয়েছে। তাদের সম্মিলিত মহাবিকাশ আগাদি জোট পেয়েছে মোট ৯৭৬টি আসন।
অর্থাৎ– ১–৮০২টি আসনের মধ্যে জোটের দখলে ৯৭৬টি আসন। আর বিজেপির দখলে গিয়েছে ৪১৬টি আসন। সেক্ষেত্রে অবশ্য বলা যায়– একক দল হিসেবে সবথেকে বেশি আসন পেয়েছে বিজেপি।
উল্লেখ্য– যেভাবে মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে ফের টেক্কা দিয়েছে জোট তাতে খুশির হাওয়া পদ্মবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির শিবিরে। সামনে আবার ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। এই ফলাফল বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেইসঙ্গে আরও একটি বিষয় স্পষ্ট, আসন্ন ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি শক্তি বাড়াতে পারেনি।
এদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ছে। কিন্তু– দেশে পেট্রোপণ্যের মূল্য থমকে রয়েছে। মনে করা হচ্ছে মোদি সরকার ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে দাম বাড়ানোর পথে হাঁটছে না। আসলে পরিস্থিতি যে বিশেষ অনুকূলে নেই তা উপলব্ধি করেই ঝুঁকি নিতে নারাজ তারা। একইভাবে তিন কৃষি আইনও প্রত্যাহার করে নিয়েছে মোদি সরকার। এখন দেখার ৫ রাজ্যে বিজেপি কেমন ফল করে বিধানসভা নির্বাচনে।