পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: আদিবাসী যুবকের মুখে প্রস্রাব করার পর বাসভবনে ডেকে নির্যাতিতর পা ধুইয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। কিন্তু ওই ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে পা চাটানো হয়েছে মধ্যপ্রদেশে এক যুববকে। অথচ ওই যুবকের পা ধুইয়ে দেননি মুখ্যমন্ত্রী। সেটাই স্বাভাবিক। রাজ্যবাসীর পা ধোয়ানো মুখ্যমন্ত্রীর কাজ নয়। কিন্তু কেন আদিবাসী যুবকের পা ধুয়ে সেই জল মাথায় ছোঁয়ালেন মুখ্যমন্ত্রী? তার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি মর্মাহত। মানুষের মধ্যে ভগবান বাস করে বলেই তিনি এমনটা করেছেন। ওই দিন মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অভিযুক্ত প্রবেশ শুক্লা বিজেপির কর্মী কিনা ! জবাব দেননি তিনি। অন্যদিকে রাজ্য বিজেপি অস্বীকার করেছিল প্রবেশকে নিজেদের কর্মী বলে স্বীকার করতে। এবার হাটে হাঁড়ি ভাঙল বিজেপিরই এক নেতা।
প্রস্রাব কাণ্ডের প্রতিবাদে পদত্যাগ করলেন, সিধি জেলায় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিবেক কোল। তাঁর বক্তব্য, স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লার কর্মকাণ্ডে গত ২ বছরে তিনি বারবার আহত হয়েছেন। স্থানীয় আদিবাসীদের জমি দখল সহ অন্যান্য নৃশংসতার অভিযোগ রয়েছে ওই বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। এখন নতুন করে তারই প্রতিনিধি প্রবেশ শুক্লা আদিবাসী যুবকের মুখে প্রস্রাব করেছে। এই ঘটনায় আহত হয়েই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিবেক কোল।
এই বক্তব্যের পর নতুন করে আবারও স্পষ্ট হল, কেন দশমতের পা ধুইয়ে দিয়েছিলেন শিবরাজ।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশের গত বিধানসভায় (২০১৮) জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু ২ বছরের মাথায় অপারেশন লোটাস চালিয়ে জোর করে কংগ্রেসের কুর্সি কেড়ে নেয় বিজেপি। ৬ মাসের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন। দলিত ইস্যুতে ভয়ঙ্কর চাপে রয়েছে বিজেপি, যার জেরেই ক্যামেরার সামনে পা ধোয়ার ঘটনা রেকর্ড করেছেন শিবরাজ সিং চৌহান।