পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভোল বদল! দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সাক্ষাতের সময় দিয়েও ‘এখন ব্যস্ত আছি’, বলে সেই বৈঠক এড়িয়ে গেল দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের দফতর। কেজরি সরকারের এই দাবির বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি, দিল্লির উপ রাজ্যপালের দফতর।
প্রসঙ্গত, দিল্লির আপ সরকারের সঙ্গে দিল্লির উপ রাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনার রাজনৈতিক তরজা কারুর অজানা নয়। মনীশ সিসোদিয়াকে নিয়ে আবগারি কাণ্ডে কেজরি সরকারের সঙ্গে উপ রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছিল। এখন ফের মেয়র নির্বাচন নিয়েও উত্তপ্ত রাজনৈতিক বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
সরকারি একটি সূত্রের খবর, উপ রাজ্যপালের দফতর মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক প্রত্যাখ্যান করেছে। অন্যদিকে একটি অন্য সূত্রে খবর, উপ রাজ্যপালের দফতর থেকে সোমবার রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে চিঠি পাঠিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কেজরিওয়াল সেই চিঠির আমন্ত্রণ গ্রহণ করে জানিয়েছিলেন, আমি আমার সুবিধামতো একটি সময় নিয়ে আপনার দফতরে যাব। এদিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুরো ভোল বদলে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের দফতর থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, ‘উপ রাজ্যপাল এখন ব্যস্ত আছেন। শুক্রবারের আগে দেখা করা সম্ভব নয়’।
উল্লেখ্য, দিল্লির মেয়র নির্বাচন নিয়ে চরমে রাজনৈতিক তরজা। দিল্লি পুরনিগমের পরাজয়টা এখনও মন থেকে মেনে নিতে পারছে না বিজেপি। ভোটে পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরও বিজেপির বেশ কিছু নেতাকর্মী বলেছিলেন, মেয়র হবে বিজেপি থেকেই। এই নিয়ে আপ এবং বিজেপি কাউন্সিলরদের সংঘাত নেমে আসে রাজপথে। কার্যত অচল হয়ে ওঠে রাজধানী।
প্রতিবাদ বিক্ষোভ, নিয়ন্ত্রণে দিল্লি পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। গত শুক্রবারও পুরসভায় মেয়র নির্বাচনে বিজেপি এবং আপ কাউন্সিলররা হাতাহাতি শুরু করে দেয়। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা ১০ জন মনোনীত সদস্যকে পুরসভায় নিয়োগ করেছেন। সেখান থেকেই সমস্যা ঘোরতর হয়েছে। আপ-বিজেপি মুখোমুখি সংঘর্ষের সূচনা তখন থেকেই। আপের দাবি রাজ্য সরকারের সঙ্গে পরামর্শ না করে নিয়োগ করেছেন দিল্লির উপরাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল উপ রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে বলেন, দিল্লির ‘প্রশাসক’ হিসাবে তাঁর ভূমিকা কি দিল্লির নির্বাচিত সরকারকে এড়িয়ে যাওয়া।