‘শিব ঠাকুরের আপন দেশে,আইন কানুন সর্বনেশে।’ বর্তমান কেন্দ্রীয় শাসক দল সম্পর্কে এ কথা ষোলো আনা খাঁটি। এবার রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের ওজন কমাতে তৎপর হল কেন্দ্র। যুক্তি আজব। পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী একটি প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা চাই না যে মা-বোনেদের সিলিন্ডারে ভারি ওজন তুলতে হোক আর তাই সিলিন্ডারের ওজন কম করা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা মাঝামাঝি একটি রাস্তা বার করব, তা সে ১৪.২ কেজি ওজনকে কম করে পাঁচ কেজি করা হোক বা অন্য কোনও উপায়ে।
গ্যাসের দাম কমানোর কোনো কথা নেই। অতচ হঠাৎ করে সিলিন্ডারের ওজন নিয়ে চিন্তায় আকুল কেন্দ্র। এত ভারী সিলিন্ডার সরাতে, টানতে অসুবিধায় পড়েন মহিলারা। সেই কথা ভেবেই তৎপর হচ্ছে কেন্দ্র। মহিলাদের কাজের সুবিধার জন্য গ্যাস সিলিন্ডারের ওজন কমিয়ে ৫ কেজি করার কথা ভাবছে। কীভাবে কমানো হবে, সেই নিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে রাজ্যসভায় জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ পুরী।
এ রকম হলে মহিলাদের কাজের অবশ্যই সুবিধা হবে। কিন্তু মধ্যবিত্তের ট্যাঁকে টান পড়বে না তো! এভাবে কি ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারের দামও বাড়ানোর চেষ্টা করছে মোদি সরকার! নাকি ভর্তুকিই তুলে দিতে চাইছে! ৫ কেজির গ্যাস সিলিন্ডার ফুরিয়ে যাবে তাড়াতাড়ি। সেক্ষেত্রে বারবার গ্যাস বুক করার ঝঞ্ঝাট বাড়বে। পরিবহন খরচও বাড়বে। এখন বছরে ১২টি সিলিন্ডারে ভর্তুকি দেয় কেন্দ্র। ৫ কেজি সিলিন্ডারের ক্ষেত্রেও ভর্তুকির সংখ্যা একই থাকলে বিপাকে পড়বে মধ্যবিত্ত।
এক নজরে গৃহস্থের সুবিধা – অসুবিধা
এলপিজি সিলিন্ডারের স্বাভাবিক ওজন ১৪.২ কেজি
এত ভারি সিলিন্ডার তুলতে সমস্যা মহিলাদের
১৪.২ কেজি থেকে কমিয়ে করা হতে পারে ৫ কেজি
সিলিন্ডারের ওজন কম হলে খরচ বাড়বে মধ্যবিত্তের