পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নিক্কি যাদব খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সাহিল গেহলটকে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবার খুনে মদদ দেওয়ার অভিযোগে সাহিলের বাবা সহ পরিবারের পাঁচজনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। নিক্কি হত্যাকাণ্ডে পরতে পরতে রহস্যের উন্মোচন করছে পুলিশ।
জানা গিয়েছিল, নিক্কির সঙ্গে লিভ ইন করতেন সাহিল। এদিনে নিক্কির বাবা জানান, মেয়ে যে লিভ ইন করত সে কথা জানতেন না। মেয়ে হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেই বলেই জানেন তারা। জানা গেছে, লিভ ইন নয় নিক্কিকে আগেই বিয়ে করেছিলেন সাহিল। পরে ফের নিজের পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করে সে। আর এই পুরো ঘটনায় খুনে সাহিলকে মদদ জুগিয়েছে তার বাবা। তাঁর বুদ্ধি মতোই বাগদানের পর নিকির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল সাহিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২০ সালেই নয়ডার এক মন্দিরে গোপনে বিয়ে সারেন তারা। এমনকী সাহিলের পরিবারও এই বিয়ের কথা জানত। এর পরেও তারা সাহিলকে অন্যত্র বিয়ে করার জন্য জোর করে দেন। এমনকী অন্য এক যুবতীর সঙ্গে বাগদানের রাতেই নিক্কিকে খুনের পরিকল্পনা ছিল সাহিলের পরিবারেরই।
কিন্তু সাহিলের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে অন্য এক যুবতীর সঙ্গে সাহিলের বিয়ে ঠিক করেন তারা। এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না নিক্কি। বিয়ের দুইদিন আগে সাহিলের অন্যত্র বিয়ের কথা জানতে পারে তিনি। এই নিয়ে দুইজনের মধ্যে তুমুল বচসা হয় ৯ ফেব্রুয়ারি, ওই দিনই সাহিলের অন্য এক যুবতীর সঙ্গে বাগদান হয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা বচসার পরেই গাড়ির মধ্যেই চার্জিং কেবল গলায় জড়িয়ে নিক্কিকে খুন করে সেইদিনই সাহিল তার পছন্দ করা পাত্রীকে বিয়েও করেন।
শুক্রবার দিল্লি পুলিশের হাতে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য আসল। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিনই দিল্লির বাইরে হাইওয়ের ধারে সাহিলের পারিবারিক ধাবার ফ্রিজ থেকে উদ্ধার করা হয় নিক্কি যাদব নামক বছর ২৩-র এক যুবতীর দেহ। খুনের তিন পর এক অভিযোগের ভিত্তিতে নিক্কির দেহ উদ্ধার করা হয়।