পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্য সরকার ঠিক করেছে এবার থেকে বিদ্যুতের সংযোগ আছে এমন সব জায়গায় স্মার্ট মিটার বসানো হবে। ফলে টাকা দিয়ে রিচার্জ করার পরেই বিদ্যুত ব্যবহার করতে পারবে গ্রাহকরা। বর্তমান নিয়মের মতো মাসের শেষে বিল আসবে না। এবার থেকে আগেই টাকা জমা করে রাখতে হবে। এরই বিরোধিতায় সরব হল বামেদের কৃষক সংগঠন। মঙ্গলবার দুপুরে সিপিএমের কৃষক সংগঠনের সভা ছিল কলকাতার রানী রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। সেখানে ফসলের নায্য দাম, সারের দাম কমানো থেকে শুরু করে একাধিক দাবির সপক্ষে সরব হন বাম নেতারা।
তাতেই উঠে আসে বিদ্যুতের সংযোগে স্মার্ট মিটারের বিরোধিতার বিষয়টি। শুধু তাই নয়, রাজভবন অভিযানের ডাকও দেওয়া হয় এ দিন।
এ দিন পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষক সভার সভাপতি বিপ্লব মজুমদার বলেন, দিল্লির আন্দোলন রাজ্যের ২১টি জেলায় ছড়িয়ে পড়বে। আন্দোলনের ঢেউয়ে কৃষকদের দাবি মানতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। কেন্দ্রের কর্পোরেটের বন্ধু ও স্বৈরতান্ত্রিক শক্তিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। কৃষকসভার সম্পাদক অমল হালদার বলেন, স্মার্ট মিটার কৃষককে সর্বস্বান্ত করবে। স্মার্ট মিটার আমরা লাগাতে দেব না। মাইক্রো ফাইনান্স কৃষিক্ষেত্রকে ধ্বংস করছে। সরকার চুপ।। তিনি ডাক দেন, নভেম্বরে রাজভবন অভিযান হবে।
অমল হালদার আরও বলেন, কৃষক ভালো নেই। ধান, পাট, আলু, সমস্ত ক্ষেত্র বিপন্ন। জল নেই, সেচ নেই, ধানে পোকা লেগেছে। আলুর দাম নেই। চাষ-আবাদ লোকসানে চলছে। তাঁর প্রশ্ন, কি হবে পাট চাষের? বিস্তীর্ণ এলাকায় দুরবস্থা। জল নেই। সাবমারশিবেল দিয়ে পাট পচাতে হচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। শুধু ডেপুটেশনে হবে না। পথে নামতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। অমল হালদারের অভিযোগ, ভেজাল সারে বাজার ছেয়ে গিয়েছে। সরকার চুপ। নদী হেক্টরের পর হেক্টর জমি গিলছে। দুই সরকার নীরব। নদী বাঁধ দেওয়ার দাবিও তোলা হয়েছে। অন্যান্যরাও ফসলের নায্য দাম, বিদ্যুতের স্মার্ট মিটার বাতিল, সারে ভেজাল রোখা-সহ একাধিক দাবিতে সরব হন।