পুবের কলম প্রতিবেদক: একের পর এক খারাপ খবর! মাস কয়েক আগেই প্রয়াত হয়েছেন রামকৃষ্ণ মঠ এবং মিশনের অধ্যক্ষ স্মরণানন্দ মহারাজ। তাঁর মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের দুর্যোগ। প্রয়াত হলেন সারদা মঠ এবং রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা তথা প্রবীণতম সন্ন্যাসিনী প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণা মাতাজি।
২০২২ সালে সারদা মঠের চতুর্থ সভাপতি প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণার মৃত্যুর পর, ২০২৩ সালের ১৪ জানুয়ারি ওই পদে বসেন আনন্দপ্রাণা মাতাজি। তাঁর মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া ছায়া সঙ্ঘে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ৯টা ৫৪ মিনিট নাগাদ সারদা মঠের সদর দফতরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।
বিগত কয়েকদিন ধরেই বয়সজনিত রোগে ভুগছিলেন আনন্দপ্রাণা মাতাজি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। সারাজীবনই তিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করে গিয়েছেন। ১৯২৭ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণা মাতাজি। সারদা মঠের পঞ্চম সভাপতি ছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই প্রবল ঈশ্বরানুরাগী ছিলেন তিনি। সঙ্গে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতেন।
বেলুড় মঠের সপ্তম সভাপতি স্বামী শঙ্করানন্দের কাছ থেকে দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণা মাতাজি। এরপর ১৯৫৭ সালে তিনি বাগবাজার নিবেদিতা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপরে সারদা মঠের সঙ্গে যুক্ত হন। প্রথমে সঙ্ঘের সহ-সভাপতি আসনে ছিলেন তিনি। এরপর ২০২২ সালে সারদা মঠের চতুর্থ সভাপতি প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণার মৃত্যুর পর তাঁকে সেই আসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত তাঁর দেহ দক্ষিণেশ্বরে সারদা মঠের প্রধান কার্যালয়ে রাখা থাকবে, সেখানেই ভক্তরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। সারদা মঠ সূত্রের খবর, এরপরেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।