পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: মর্গে লাশের স্তূপ। ৮০০০ নিরীহ ফিলিস্তিনি’কে হত্যা করে দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধ ঘোষণা ইসরাইলের। ইতিমধ্যেই আল-কুদস হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে অত্যাচারী ইহুদি বাহিনী। ১:১০০০ হত্যালিলায় মেতেছে রক্ত-পিপাসু ইসরাইলিরা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ইসরাইলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ফিলিস্তিনে এখনও পর্যন্ত ৮০০০ নাগরিক ‘শহিদ’ হয়েছেন।
১৪০০ মানুষের বদলা নিতে ৮ শতাধিক মানুষ’কে খুন করেছে ইহুদি’রা। এত এত মৃতদেহ’কে পদদলিত করে গাজায় আরও ট্যাঙ্ক ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে ‘জালিম শাসক’ বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এর জেরে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। এই আবহে জবরদখলকারী ইসরাইল’কে সমর্থনের কারণে ভারতীয় নার্স’কে নির্বাসনের নির্দেশ দিয়েছে দুবাই।
কুয়েতের আল-রাই সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সন্ত্রাসী ইসরাইল’কে সমর্থন করার জন্য ভারতীয় নার্স’কে নির্বাসনের নির্দেশ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, ফিলিস্তিনিদের সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন ওই নার্স। সামাজিক মাধ্যম হোয়াটস অ্যাপে ইসরাইলের পতাকা’কে স্ট্যাটাস দিয়ে ফিলিস্তিনি আত্মরক্ষা’কে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে পোস্ট করেন তিনি। বর্তমানে আল-সাবাহ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২২ অক্টোবর, মুবারক আল-কাবীর হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সের বিরুদ্ধে প্রথম এই ধরণের অভিযোগ আসে। যিনি “ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা এবং আল-আহলি-আরব হাসপাতালে বোমা হামলায় ইসরাইলি পদক্ষেপ’কে সমর্থন করেছিলেন। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, গত তিন সপ্তাহে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ২০৩টি স্কুল, ৮০টি সরকারি অফিস ধুলোয় পরিণত হয়েছে।
অন্যদিকে গাজায় এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ২০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত এবং এবং ৩২ হাজার ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। তারপরেও পাশ্চাত্যের মিডিয়া ফিলিস্তিনিদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিতে ফলস ন্যারেটিভ তৈরির আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে।