পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ ও মর্যাদাসম্পন্ন মসজিদ তিনটি। মক্কার মসজিদুল হারাম, মদিনার মসজিদে নববি ও জেরুজালেমের মসজিদুল আকসা। এরপর হল মসজিদে কুবা। নবি (সা.) নবুওয়ত লাভের পর এটিই ইসলামের ইতিহাসে নির্মিত প্রথম মসজিদ। সেই মসজিদ আকারে ১০ গুন বাড়ানো হবে জানিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান।
মসজিদে কুবা ইসলামের ইতিহাসের প্রথম নির্মিত মসজিদ। মহানবি (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার সময় মদিনার অদূরে কুবায় এ মসজিদ নির্মাণ করেন। এর আগে মক্কায় তিনি কোনও মসজিদ নির্মাণ করেননি। হিজরতের প্রথম দিন কুবা অবস্থানকালে এই মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন। মসজিদের নির্মাণকাজে সাহাবাদের সঙ্গে স্বয়ং রাসুল (সা.) অংশগ্রহণ করেন।
২০১৮ সালে মুহাহাম্মদ বিন সালমান ১৩০টি ঐতিহাসিক মসজিদ পুনঃস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তা ছিল সরকারের জাতীয় পুনরুজ্জীবন কর্মসূচির অংশ। ক্রাউন প্রিন্স এই প্রাচীন মসজিদগুলির গুরুত্বে বিশ্বাস করেন। তিনি মন করেন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং স্থাপত্যের দিক দিয়ে এই মসজিদগুলি অত্যন্ত তাৎপযপূর্ণ।
৫০,০০০ বর্গ মিটার পর্যন্ত প্রসারিত করা হবে এই মজসিদ। এর আগে এমন সম্প্রসারণ কখনও হয়নি। যে নয়া প্রকল্পের আওতায় এই সম্প্রসারণ তা মুহাম্মদ বিন সালমানের নামে। প্রকল্পটির লক্ষ্য হল মসজিদের ধারণক্ষমতা বাড়ানো। যাতে ৬৬,০০০ মুসল্লি একসঙ্গে এখানে নামায আদায় করতে পারেন। বর্তমানে মসজিদে কুবাতে ৫,০০০ বর্গ মিটার এলাকাজুড়ে নামায হয়। এখানে এখন একসঙ্গে ২০,০০০ মুসল্লি নামায আদায় করতে পারেন।
মসজিদে কুবার কাছে যেসব ঐতিহাসিক জায়গাগুলি আছে সেগুলিকেও নতুন করে রক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রকল্পের অংশ হিসাবে কূপ, খামার এবং বাগান সহ ৫৭ টির মতো জায়গার উন্নয়ন বা পুনর্বাসন করা হবে। কুবা মসজিদ মসজিদে নববী থেকে ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। ১ হিজরিতে (৬ ২ ২ খ্রিস্টা·) এই মজসিদ নির্মিত হয়েছিল।
এই মসজিদ সম্পর্কে একটি হাদিস আছে। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এই ঘরে অযু করে এবং সেখানে একটি সালাত আদায় করে, সে এক ওমরার সমতুল্য সওয়াব পাবে।’ এ কারণেই মসজিদটি মুসলমানদের কাছে ধর্মীয় দিক দিয়েও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।