দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট: ছেলে বৌমা ও স্ত্রীকে নিয়ে অভাবের সংসার। চপের দোকানের উপর নির্ভর ছিল সোমাদীশ গড়াইয়ের সংসার। কিন্তু তাঁর দোকান ছিল ভগ্নপ্রায়। সেই দোকানে চপ মুড়ি খেতে ঢোকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সালটা ছিল ২০২৯। সভার শেষে সোমাদীশের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। “মমতাদি কথা রাখেন, কথা দিয়েছিলেন মমতা দিদি। তাই পেলাম দোকান ঘর”। কথাগুলো আবেগ ভরে বললেন ষাটোর্ধ সোমাদীশ বাউড়ি। তাঁর বাড়ি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামার বাড়ি কুসুম্বায়।
২০১৯ সাল, রামপুরহাট সানঘাটা পাড়া সেতু সংলগ্ন পাখুড়িয়া গ্রাম সংলগ্ন মাঠে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা।২৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে রামপুরহাট কিষাণ মাণ্ডিতে অস্থায়ী হ্যালিপ্যাডে নেমে সেচপল্লীর সার্কিট হাউসে রাত্রি বাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরের দিন বুধবার তিরিশে জানুয়ারি ছিল তাঁর সভা। সেখান থেকে কুসুম্বায় কৃষাণু দাসের বিয়েতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যান মুখ্যমন্ত্রী। পাত্রপাত্রীকে আশীর্বাদ করে ফেরার পথে কুসুম্বার তপসীমোড়ে রাস্তার উপরে একটি তেলেভাজার দোকানে ঢুকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে চপও কেনেন।
তেলেভাজার মধ্যে চপ আর খাবারের মধ্যে মুড়ি খুব প্রিয় মুখ্যমন্ত্রীর। সেসময় মুখ্যমন্ত্রী একান্ত আলাপচারিতায় দোকানের মালিক সোমাদীশ বাউড়ির কাছে তাঁর অভাব অভিযোগ শুনতে চান। তখনই দোকানের ভগ্নপ্রায় অবস্থা দেখে একটি পাকা দোকানের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তারপর জেলাপরিষদের তত্ত্বাবধানে চার লক্ষ ঊনসত্তর হাজার টাকা ব্যায়ে একটি দোকান ঘর নির্মিত হয়। বৃহস্পতিবার ছিল সেই দোকানের উদ্বোধন করেন বিধান সভার ডেপুটি স্পীকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন পান্থ দাস, কৃষাণু দাস, আনারুল হোসেন সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব।