পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকাতেই রাখতে হবে।জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী কাবিন্দর গুপ্ত সংবাদমাধ্যমে এ কথা বলেছেন। কাশ্মীর উপত্যকায় হত্যাকাণ্ডের পর কাশ্মীর পন্ডিত এবং সেই সম্প্রদায়ের কর্মচারীদের জম্মুতে পোস্ট করার দাবির বিরোধিতা করে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তাদের কাশ্মীরের মধ্যে নিরাপদ স্থানে পোস্ট করা উচিত।
এভাবে আচমকা কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা শাঁখের করাত হয়ে উঠবেন, কেন্দ্রীয় সরকার তা ধারণাই করতে পারেনি। কিংকর্তব্যবিমূঢ় সরকার ও বিজেপি আপাতত ঠিক করেছে, যেভাবেই হোক কাশ্মীর উপত্যকায় পণ্ডিতদের ধরে রাখতে হবে। কোন অবস্থাতেই তাঁদের জম্মু যেতে দেওয়া হবে না।
সরকার ঠিক করেছে, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে উপত্যকায় যোগ দেওয়া পণ্ডিতদের কম উপদ্রুত জেলার সদরে বদলি করা যেতে পারে। পণ্ডিতদের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে। কিন্তু কোন অবস্থাতেই তাঁদের জম্মু যেতে দেওয়া হবে না। উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে উপত্যকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্ত্রক সূত্রের খবর, দ্রুত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা।
জম্মু যেতে না দেওয়া বা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকায় ধরে রাখার সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণই রাজনৈতিক। সরকারের ভাবমূর্তির সঙ্গেও পুরোপুরি যুক্ত। শাসক বিজেপির শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, এত কিছুর পর পণ্ডিতেরা যদি নিরাপত্তার প্রশ্নে উপত্যকা ছেড়ে জম্মুর অপেক্ষাকৃত নিরাপদ এলাকায় চলে যান, তাহলে তা সরকারের ব্যর্থতা বলেই চিহ্নিত হবে। প্রমাণিত হবে, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ, রাজ্য দ্বিখণ্ডিত এবং যাবতীয় দমনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সত্ত্বেও উপত্যকার পরিস্থিতি একই রকম রয়ে গেছে। এরই মধ্যে পণ্ডিতদের বদলির তালিকা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ বেড়েছে। কারণ, সেই তালিকায় কে, কোথায় বদলি হচ্ছে, তা প্রকাশিত হয়ে যাওয়ায় পণ্ডিতদের নিরাপত্তা শঙ্কা আরও বেড়েছে।
মন্ত্রক সূত্রের কথায়, পণ্ডিতদের চলে যেতে দিলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রকল্প এবং সার্বিকভাবে কাশ্মীর নীতি ব্যর্থ বলে চিহ্নিত হবে।