পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রের বাজেট আশার আলো দেখাতে পারল না কর্নাটকের ক্ষুদ্র চাষিদের। এই বাজেট হতাশ করেছে, এমনই মত তাদের। ১ ফেব্রুয়ারি পেশ হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট। আশায় বুক বেঁধে বসেছিলেন ক্ষুদ্র কফি চাষিরা। কিন্তু এই বাজেট তাদের সন্তুষ্ট করতে পারল না। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার কফির বিক্রয়ের উপর থেকে সম্পূর্ণ কর ছাড়ের দাবি পূরণ করেনি। কফি চাষিরা ৭৫ শতাংশ কর ছাড় থেকে সম্পূর্ণ কর ছাড়ের দাবি করেছিলেন। কিন্তু বাজেটে কেন্দ্র সরকার উৎপাদিত কফির উপর ২৫ শতাংশ কর ধার্য করছে।
ভারতে প্রায় ৭০ শতাংশ কফি উৎপাদন হয়। রয়েছে ৯৯ শতাংশ ছোট বা ক্ষুদ্র কফি চাষি। কফির উৎপাদনে শীর্ষ তালিকায় কর্নাটকের পর রয়েছে তামিলনাড়ু ও কেরল।
কফি প্ল্যান্টার অ্যাসোসিয়েশনগুলির বক্তব্য, বাজেটের প্রভাব পড়বে ছোট চাষিদের উপরে। তাদের অবশ্যই মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে (স্থানীয় ব্যবসায়ী, স্থানীয় মজুদদার, স্থানীয় খুচরা বাজার, ব্যাপারি পাইকারি ব্যবসায়ী, কেন্দ্রীয় বাজার বা টার্মিনাল, আড়তদার, প্রক্রিয়াজাতকারী, খুচরা বাজার, খুচরা ব্যবসায়ী) পণ্য বিক্রি করে সেখান থেকে মুনাফা করার অনুমতি দেওয়া উচিৎ। কারণ ক্ষুদ্র চাষিরা এই মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে শোষিত হয়। চাষিদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে কাঁচা কফি কিনে পরে কফির বীজ তৈরি করে কিউরিং, রোস্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে তারা বেশি দামে বিক্রি করে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে ক্ষুদ্র কফি চাষিরা এখনও একটি ইউনিয়ন বা কৃষক উৎপাদনকারী সংস্থার (এফপিও) ছাতার তলায় আসতে পারেনি। কর্নাটকে ৩৫ থেকে ৪০টি এফপিও আছে।
কর্নাটকে ২.৮ লক্ষ বা ৭২.৫ শতাংশ কফি উৎপাদিত হয়। ক্ষুদ্র চাষিদের অধিকাংশেরই ২৫ হেক্টরের কম জমি রয়েছে। বাজারের ওঠানামা থেকে শুরু করে মার্কিন মূল্যের উপর নির্ভর প্রভৃতি নানা কারণে কফি চাষিদের অবস্থা বিপন্ন। ক্রমাগত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তারা।