পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শিবির করে আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সঙ্ঘ পরিবারের সদস্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব সংগঠন বজরং দলের কর্নাটক শাখার বিরুদ্ধে।
গত ৫ থেকে ১১ মে কর্নাটকের কোডাগু জেলার পোন্নমপেটের একটি স্কুলে বজরং দলের প্রশিক্ষণ শিবিরে শারীরিক সক্ষমতা, লাঠির পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।
সেই প্রশিক্ষণ শিবিরে সংগঠনের সদস্যদের চাঁদমারিকে নিশানার ছবি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
এ ব্যাপারে যে পুলিশ ইন্সপেক্টর একটি মামলা নথিভুক্ত করেছিলেন এবং ‘শৌর্য শিক্ষা ভারগা’-এর আয়োজকদের কাছে নোটিশ জারি করেছিলেন, তাকে বদলি করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি ছিল একটি প্রশিক্ষণ শিবির যেখানে ডানপন্থী সংগঠন বজরং দলের সদস্যদের ‘ত্রিশূল’ এবং এয়ারগানের মতো অস্ত্র দেওয়া হয়েছিল।
বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, পুলিশ বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তারা বলেছেন,এই মামলার সঙ্গে তার বদলির কোন সম্পর্ক নেই এবং তিনি অন্যান্য বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন।
প্রশিক্ষণ শিবিরটি কর্ণাটকের মাদিকেরি জেলায় বজরং দলের কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে ১০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারীকে দেখা গিয়েছিল। সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ শিবিরে, অংশগ্রহণকারীদের অস্ত্র দেওয়া হয় এবং এয়ারগান দিয়ে শুটিং অনুশীলন করা হয়।
কর্নাটক বজরং দলের নেতা তথা শিবিরের অন্যতম আয়োজক রঘু সকলেশপুর সোমবার পোন্নমপেটের স্কুলে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজনের কথা মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সদস্যদের শারীরিক এবং মানসিক সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই ওই ‘শৌর্য কর্মশালা’র আয়োজন করা হয়েছিল।’’
শৌর্য কর্মশালায় কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না বলেই দাবি করেন রঘু। তিনি বলেন, ‘‘ত্রিশূল দীক্ষার পাশাপাশি একাগ্রতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ শিবিরে এয়ারগান চালানোর অনুশীলনের ব্যবস্থা ছিল। এয়ারগান কেনা বা অনুশীলনের জন্য কোনও লাইসেন্স লাগে না। আগ্নেয়াস্ত্র আইনও ভঙ্গ করা হয় না।’’
এক সপ্তাহের ওই প্রশিক্ষণ শিবিরে বজরং দলের ১১৬ সদস্য অংশ নিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।