পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ অবশেষে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন পঞ্চায়েত রাজমন্ত্রী কে ঈশ্বরাপ্পা। যদিও এফআইআর দায়ের হওয়ার পরেও ইস্তফা না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন ঈশ্বরাপ্পা।
বিজেপি কর্মী ঠিকাদার সন্তোষ পাতিলের কাছ থেকে কমিশন চেয়ে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন ঈশ্বরাপ্পা এবং তাঁর সহযোগীরা। এমনটাই ছিল অভিযোগ। আন্তঘাতী ঠিকাদার সন্তোষ পাতিল তাঁর সুইসাইড নোটে সব কথা লিখে যান।
ঠিকাদার কে আত্মহত্যায় প্ররোচনা! কর্নাটকের পঞ্চায়েত রাজমন্ত্রী ঈশ্বরাপার বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর, পদত্যাগ না করার সিন্ধান্তে অনড় মন্ত্রী
আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে অবশেষে ১৩ এপ্রিল এফআইআর দায়ের হয় কর্নাটকের গ্রামীণ উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত রাজমন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে। কর্নাটকের আত্মঘাতী ঠিকাদার সন্তোষ পাতিল নিজের সুইসাইড নোটে সুস্পষ্ট ভাবে দায়ী করেন ঈশ্বরাপ্পা এবং তাঁর সহযোগীদের।সন্তোষ লিখে যান ঈশ্বরাপ্পা এবং তাঁর সহযোগীরা একটি চারকোটি টাকা কাজের জন্য ওই থেকে ৪০% কমিশন দাবি করেন। অসহ্য মানসিক চাপের জেরেই পাতিল আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন।
মঙ্গলবার রাতেই ওই আত্মঘাতী ঠিকাদারের ভাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারই ভিত্তিতে উদুপী থানার পুলিশ এই শীর্ষ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। তবে এফআইআর দায়ের হওয়ার পরেও কিন্ত মন্ত্রীত্ব ছাড়তে নারাজ ঈশ্বরাপ্পা। মঙ্গলবারের মত বুধবারেও তিনি পদত্যাগ না করার ইস্যুতে অনড় থাকেন। ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। এফআইআর-এ তাঁর সহযোগী বাসভরাজ ও রমেশের নামও রয়েছে।
কংগ্রেস এবং জনতা দল উভয় দলের পক্ষ থেকেই দাবি করা হয়েছে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন ঈশ্বরাপ্পা। তবে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই ব লেছেন পুলিশ তার কাজ করেছে, শুরু হয়েছে তদন্ত। এখনই ঈশ্বরাপ্পার পদত্যাগের কোন প্রশ্নই নেই।
ওই ঠিকাদারকে মঙ্গলবার সকালে উডুপির একটি ব্যক্তিগত লজে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পাতিল তাঁর সুইসাইড নোটে পরিস্কার লিখে গিয়েছেন “আরডিপিআর মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা আমার মৃত্যুর জন্য এককভাবে দায়ী। আমি আমার সমস্ত আশা, আকাঙ্খাকে অসম্পূর্ণ রেখেই এই চরম সিন্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছি। আমি আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই, প্রবীণ বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পা এবং অন্য সকলের কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ করছি আমার মৃত্যুর পর আমার পরিবার এবং সন্তানদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য”