পুবের কলম প্রতিবেদক: কমল ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সংখ্যালঘু বাজেট। বুধবার কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তাতে দেখা গিয়েছে আগের বছরের তুলনায় সংখ্যালঘু খাতে অনেক টাকা কমানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের সংখ্যালঘুদের মধ্যে রয়েছে মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন ও পারসিক সম্প্রদায়। গত অর্থবছরে এই খাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল ৫,০২০ কোটি, এবার তা কমে হয়েছে ৩,০৯৭ কোটি। শতাংশের বিচারে প্রায় ৪০ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ কমেছে। আর সামগ্রিকভাবে তুলনা করতে হলে মোট বাজেদের ০.১ শতাংশেরও বরাদ্দ হয়েছে সংখ্যালঘুখাতে।
সামগ্রিকভাবে সংখ্যালঘুখাতে বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি প্রাক-মাধ্যমিক (প্রি-ম্যাট্রিক) অর্থাৎ- প্রথম থেকে নবম শ্রেণির সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য স্কলারশিপ ও উচচশিক্ষায় গবেষকদের জন্য মৌলানা আজাদ রিসার্চ ফেলোশিপের টাকাতেও কাটছাঁট হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে মেরিট-কাম-মিনস্ স্কলারশিপের টাকা ৮৭ শতাংশ কমানো হয়েছে। এই খাতে এবার মাত্র ৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আগের বছর এইখাতে বরাদ্দ হয়েছিল ৩৬৫ কোটি টাকা। এবারের বাজেটে প্রি-ম্যাট্রিক স্কলারশিপেও টাকা কমানো হয়েছে। প্রি-ম্যাট্রিক অর্থাৎ- প্রথম থেকে নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কলারশিপে বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ৪৩৩ কোটি টাকা। আগে এইখাতে বরাদ্দ ছিল ১,৪২৫ কোটি টাকা।
সংখ্যালঘুদের শিক্ষাখাতেও টাকা কমেছে। আগের বছর মাদ্রাসা ও সংখ্যালঘুদের শিক্ষাখাতে বরাদ্দ হয়েছিল ১৬০ বরাদ্দ হয়েছিল, এবার তার ৯৩ শতাংশ কমানো হয়েছে। ১৬০ কোটি টাকা থাকে কমিয়ে মাত্র ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে মাদ্রাসা ও সংখ্যালঘুদের শিক্ষাখাতে। তবে পোস্ট-ম্যাট্রিক স্কলারশিপখাতে আগে বরাদ্দ ছিল ৫৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ, এবার ১০৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এবার পোস্ট-ম্যাট্রিক স্কলারশিপে বরাদ্দ হয়েছে ১,০৬৫ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রী বিরাসত কা সম্বোধন বা পিএম-বিকাশ স্কিমে স্কিল ডেভেলপেন্ট ও লিডারশিপ ট্রেনিংয়ের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৫৪০ কোটি টাকা।
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রকল্প পিএমজেওয়াইকে অর্থাৎ- প্রধানমন্ত্রী জনবিকাশ কার্যক্রমের জন্য ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের ফ্রি কোচিংয়ের জন্য এবার বাজেট বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ৩০ কোটি টাকা। আগের অর্থবর্ষে এই পরিমাণটা ছিল ৭৯ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের বাজেট ৫০০০.০৫ কোটি টাকা।