পারিজাত মোল্লা: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠে বেশ কয়েকটি বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলা। এদিন হাওড়ার বালি পুরসভার অন্তর্গত বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ নির্দেশ দানে জানিয়েছে, -‘ আগামী ৬দিনের মধ্যে ওই নির্মাণ সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে হবে।
শুক্রবার সকাল ১১টায় ভাঙার কাজ শুরু করতে হবে’। এর আগে বেআইনী নির্মাণ ভাঙার আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেয়। পরে মামলাটি ওঠে বিচারপতি অরিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেও ওই রায় বহাল ছিল।
বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে লিলুয়া থানার ওসি এবং সংশ্লিষ্ট নির্মাণকারী সংস্থার প্রধানকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে পৌঁছে যান বিল্ডিংয়ের ঠিকেদার পার্থ ঘোষ এবং লিলুয়া থানার ওসি । ওই নির্মাণের কিছু অংশ যে বেআইনি ভাবে তৈরি করা হয়েছিল, পার্থ তা এদিন এজলাসে স্বীকার করে নিয়েছেন। তার পরেই নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন বিচারপতি।গত ৪ সেপ্টেম্বর ওই নির্মাণ ভাঙতে বালি পুরসভা থেকে লোক পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন বলে অভিযোগ । পুলিশের সাহায্য ছাড়া ওই নির্মাণ ভাঙা সম্ভব নয় বলে জানায় সংশ্লিষ্ট পুরসভা।
পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগও ওঠে।এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কে লিলুয়া থানার ওসি বলেন , -‘ঘটনার সময়ে থানায় অফিসার ইন-চার্জ হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন অন্য কেউ। তাই তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না’। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২৯ নভেম্বর। ওই দিন পুরসভাকে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। এছাড়া, ওই দিন লিলুয়া থানার তত্কালীন ওসি হাজিরারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
মূলত এই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধেই অসহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি জানান, -‘ কোনও ভাবেই কোনও বেআইনি নির্মাণ বরদাস্ত করা হবে না’। তিনি এও জানান , ”আমার বাড়িও হাওড়ায়। সেই বাড়ি যদি বেআইনি হয়, তবে তা-ও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলতে হবে।” এর পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের একটি বেআইনি ক্লাবঘরও বৃহস্পতিবার ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস।