উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: আবার বারুইপুর পুলিশ জেলার জয়নগর থানার পুলিসের তৎপরতায় সুদূর মুম্বাই থেকে উদ্ধার হল এক নাবালিকা। পুলিশ সূত্রে জানা গেল, প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে জয়নগরের এক নাবালিকাকে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল মুম্বাইতে। সেখানে নিয়ে গিয়ে দেহব্যবসায় নামানোর ছক ছিল অভিযুক্তের। কিন্ত জয়নগর থানার পুলিসের তৎপরতায় তা বানচাল হয়ে গেল।
মুম্বাই থেকে উদ্ধার করা হল সেই নাবালিকাকে। হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। বুধবার মুম্বাইয়ের আদালতে অভিযুক্তকে তোলা হলে ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে নিয়ে হাওড়ার উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিয়েছে জয়নগর থানার পুলিস। পুলিশ সূত্রে জানা গেল, ধৃত অভিযুক্তের নাম আলাউদ্দিন মোল্লা। বারুইপুর পুলিস জেলায় তাঁর নামে বেশ কয়েকটি নারী পাচারের অভিযোগ আছে। দিল্লি, মুম্বাইতে সে পাচারের কাজ করত। তার সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত তা পুলিস তদন্ত করে দেখছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূএে জানা গিয়েছে, জয়নগর থানার ব্যানার্জির চকের বাগচী গ্রাম থেকে এক নাবালিকা অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের লোকজন জয়নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। জয়নগর থানার আইসি অতনু সাঁতরার নির্দেশে এসআই বিট্টু পালের নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী টিম গঠন করা হয়।
তদন্তকারী অফিসার বলেন, ক্যানিং -এর সন্দেশখালী এলাকার আলাউদ্দিন মোল্লার সঙ্গে ওই নাবালিকার পরিচয় হয়েছিল। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। নাবালিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঘুরতে যাবার নাম করে মুম্বাই নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিষিদ্ধপল্লীতে মোটা টাকার বিনিময়ে তাকে নামানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা এই তদন্তে সাহায্য করে। মোবাইল ট্র্যাকিং করা হয়। তারপরেই সন্ধান পাওয়া যায়। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তকে ক্যানিং মহিলা থানার পুলিস অনেকদিন ধরেই খোঁজ চালাচ্ছে। পুলিশের এই কাজে খুশি এলাকার মানুষ। ধৃতকে জয়নগর থানায় আনার পরে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।