পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ তেহেলকার প্রাক্তন সম্পাদক তরুণ তেজপালের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের মামলা ফের উঠতে চলেছে আদালতে। বম্বে হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ধর্ষণে অভিযুক্ত এই প্রাক্তন সাংবাদিকের বেকসুর খালাস মামলার বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য রাজ্য সরকারকে অনুমতি দিয়েছে। তরুণ তেজপালের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির৩৭৬ (ধর্ষণ), ৩৪১ (অন্যায়ভাবে সংগম),৩৪২ (অন্যায়ভাবে আটকে রাখা) ৩৫৪ এ (যৌন হয়রানি) এবং ৩৫৪ বি (ফৌজদারি হামলা) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল, একজন জুনিয়র সহকর্মী তাকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। ২০১৩ সালে গোয়ায় পাঁচ তারকা রিসোর্টে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। ঠিক কি ঘটেছিল, ২০১৩ সালে তরুণ তেজপালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন তারই এক জুনিয়র সহকর্মী। এরপরেই তেহেলকার সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দেন তেজপাল। ২০১৩ সালে গ্রেফতার করা হয় তেজপালকে। ২০১৪ সালে দেশের শীর্ষ আদালত তাঁকে জামিন দেন। ২০১৭ সালে নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। তাঁর ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা হয়।
এই রায়ের বিরোধিতা করে তেহেলকার প্রাক্তন সম্পাদক সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্ত হন। ধর্ষণ মামলায় বেকসুর খালাস পান তেহেলকার প্রাক্তন সম্পাদক তথা সাংবাদিক তরুণ তেজপাল আট বছরের পুরোনো এই মামলায় তরুণ তেজপালের জামিন মঞ্জুর করে উত্তর গোয়ার মাপুসার ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশন কোর্ট। বিচারক ক্ষমা যোশী তেজপালকে মুক্তির রায় শোনান। তবে এই কেস রিওপেন হওয়ার পেছনে কোন সমীকরণ কাজ করছে। কি বলছেন ওয়াকিবহাল মহল। আসলে তেজপাল হছেন সেই গোত্রীয় সাংবাদিক যিনি ভবিষ্যৎ রাজনীতির গন্ধটা খুব ভালো করে যাচাই করতে পারতেন। ২০০২ তে বসে যিনি বলতে পেরেছিলেন ২০১৪ তে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। রাজ করবে মোদি সরকার। এখানেই শেষ নয় তহেলকার অন্ততদন্তে কেন্দ্রের শাসকদলের দুর্নীতির পর্দা বারবার ফাঁস হয়েছে। তাই বোধহয় কোথাও গিয়ে সমীকরণটা জলের মত পরিস্কার হয়ে যায়। অনেকের অভিযোগ যেখানে শীর্ষ আদালত তেজপালকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছিলেন তাকে ফের কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। এর পেছনে যে প্রচ্ছন্ন “গৈরিক প্রতিহিংসা” কাজ করছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা বলেই মনে করছেন তাঁরা