দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন: দশের বেশি সংগঠন মিলে যৌথ মঞ্চ গড়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে চিঠি পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যিপাল ও মুখ্যরমন্ত্রীকে। এছাড়াও উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছে ‘বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ।’ এই মঞ্চে আছে বিশ্বভারতী ছাত্র-ছাত্রী ঐক্য, বিশ্বভারতী অধ্যাওপক সংগঠন, বিশ্বভারতীর আশ্রমিক, প্রাক্তনী, আলাপিনী মহিলা সমিতি, শান্তিনিকেতন হ্যাযণ্ডিক্রাফট কবিগুরু মার্কেট, শান্তিনিকেতন মেলার মাঠ বাঁচাও কমিটি।
বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ থেকে এই বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানান, আমরা পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। উপাচার্য দিল্লি গেছেন, তিনি ফিরে আসবেন। আগামীদিনে আমরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে চলেছি।
সম্প্রতি বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের সমর্থন করে এই সমস্ত সংগঠন মিলে গড়ে উঠেছে বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ। বৃহস্পতিবার দুপুরে শান্তিনিকেতনে এক বৈঠকে মিলিত হন যৌথ মঞ্চের সদস্যবৃন্দ। সেখানেই আগামীদিনে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবি করে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে বলেই পরিষ্কারভাবে ইঙ্গিত দেওয়া হয়।
যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যেভাবে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একনায়কতন্ত্র চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ে, সেখানে শিক্ষার পরিবেশ সহ অন্যান্য বিষয়ের মান তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, সেই সমস্ত উল্লেখ করেই দেশের রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক, বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর, দেশের শিক্ষামন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, স্থানীয় সাংসদ এবং বিধায়ককে ফের চিঠি পাঠানো হবে।