পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের জন্য নয়া পোশাক বিধি চালু করল অসম সরকার । শিক্ষা দফতরের সচিব নারায়ণ কানোয়ার পোশাক বিধি সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। যাঁরা এই নয়া পোশাক বিধি মেনে চলবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ রয়েছে অসম সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে। তবে শিক্ষক মহল রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘স্বৈরাচারী’ আখ্যা দিচ্ছেন।
অসম সরকারের নয়া পোশাক বিধি অনুযায়ী শিক্ষকদের ফরমাল শার্ট এবং প্যান্ট পরা বাধ্যতামূলক। শিক্ষিকাদের জন্য সালোয়ার কামিজ, শাড়ি এবং অসমের ঐতিহ্যবাহী পোশাক মেখলা-চাদর পরতে বলা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য টি-শার্ট, জিন্স এবং লেগিংস নিষিদ্ধ করা হয়েছে নয়া পোশাক বিধিতে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে শিক্ষকদের ‘পরিচ্ছন্ন, ভদ্র এবং শালীন’ দেখায় এমন পোশাকই পরতে হবে। বেশি রঙিন ও চকচকে পোশাক পরা যাবে না। পাশাপাশি শিক্ষকদের ক্যাজুয়াল ও পার্টি পোশাক পরা থেকে কঠোরভাবে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি তরফে বলা হয়েছে, যেহেতু শিক্ষকদের কাছ থেকে শালীনতার উদাহরণ প্রত্যাশিত, বিশষে করে তাঁরা যখন স্কুল কক্ষে ছাত্রছাত্রীদের পড়ান, সেই সময় পোশাক বিধি মেনে চলা জরুরি হয়ে পড়েছে। নয়া পোশাক বিধির মাধ্যমে কর্মস্থলে মর্যাদা ও শালীনতা বজায় রাখা সম্ভব হবে।
সরকারের নয়া ফরমানে শিক্ষকদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। সুরজ কুমার ডেকা (নাম পরিবর্তিত) গুয়াহাটির একটি সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তিনি বলেন, ‘সরকারের এই সিদ্ধান্ত স্বৈরাচারের প্রমাণ। সব শিক্ষকই শালীন পোশাক পরে স্কুলে আসেন। কিন্তু সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তি দেখে মনে হচ্ছে, বেশিরভাগ শিক্ষকই অদ্ভুত ও ফ্যাশনেবল পোশাক পরে স্কুলে আসেন।’
উল্লেখ্য, অসমই উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম রাজ্য যারা স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য নয়া পোশাক বিধির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তবে, চলতি বছরের শুরুতে নবীন পট্টনায়েকের ওড়িশা সরকার শিক্ষকদের জন্য নয়া পোশাক বিধি শুরু করেছিল। গুজরাট সরকারও শিক্ষকদের জন্য পোশাক বিধি চালু করার বিষয়টি বিবেচনা করছে।