পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে ভেঙে ফেলা হয়েছে নয়ডার টুইন টাওয়ার। মাত্র ৯ সেকেণ্ডের মধ্যে এই বিশালাকার বহুতল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে এই গগনচুম্বী বহুতল ভেঙে ফেলার কৃতিত্ব অর্জন করেছে দেশের এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা। এবার আরও একটি চুক্তি পেল এই সংস্থা। জামশেদপুরে ১১০ মিটার লম্বা চিমনি ভেঙে ফেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিংকে। টুইন টাওয়ারের পরে জামশেদপুরে টাটা প্রাঙ্গণে ১১০ মিটার সুউচ্চ চিমনি ভেঙে ফেলা হবে।
নয়ডার সেক্টর-৯৩-এ সুপারটেক গ্রুপের ১০৩-মিটার সুউচ্চ টুইন টাওয়ারটিকে সম্পূর্ণ সুষ্ঠুভাবে ধবংসের পরে এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিং-সংস্থাটিকে এবার জামশেদপুরের চিমনি ভেঙে ফেলার দায়িত্ব দেওয়া হল।
টুইন টাওয়ার ধ্বংসের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ময়ূর মেহতা বলেছেন, আমাদের সংস্থার সঙ্গে আরও একটি চুক্তি করা হয়েছে। এটি টুইন টাওয়ারের থেকেও সুউচ্চ। তবে এখনই এই বিষয়ে বিশদে সব তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়।
সূত্রের খবর, বিস্ফোরক দিয়ে এই চিমনি গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। যার কাজ শুরু হবে আগামী নভেম্বরে। তবে চিমনি কবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে, সেই সম্পর্কে এখনও নির্দিষ্ট ভাবে কোনও তারিখ জানানো হয়নি, সংস্থাটির তরফে। আরও জানা গেছে, চিমনির পরিকাঠামোটি ৩০ মিটার জুড়ে রয়েছে। টুইন টাওয়ারের মতো চিমনিটিও ধবংসের সময় ভিতরের দিকে ভেঙে পড়বে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট ভারত থেকে এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিং এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জেট ডেমোলিশন যৌথভাবে টুইন টাওয়ার ধ্বংস করে। তিন হাজার, ৭০০ কেজি বিস্ফোরক দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় নয়ডার ৪০ তলা টুইট টাওয়ার। ২০১৩ সালে তৈরি শুরু হয়েছিল নয়ডার টুইন টাওয়াটি। স্থানীয়রা বাধা দিলেও সেই কথায় কর্ণপাত করেনি টাওয়ার নির্মাণকারী সংস্থা। বাধ্য হয়েই স্থানীয় এমারেল্ড কোর্ট সোসাইটির বাসিন্দারা দ্বারস্থ হন আদালতের। টুইন টাওয়ারের একটির উচ্চতা ছিল ১০০ মিটার অন্যটির উচ্চতা ৯৭ মিটার। টাওয়ার দুটি তোলার নিয়ম ছিল কমপক্ষে ১৮ মিটার দূরে। কিন্তু দেখা যায় টাওয়ার দুটির মধ্যেকার দূরত্ব মাত্র ৯ মিটার। এর পরে কুতুব মিনারের থেকেও উঁচু ওই টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।