দেবশ্রী মজুমদার,বোলপুর, পাক্কা তিন বছর পর নিজের ‘ভুল’ স্বীকার করলেন অনুব্রত মণ্ডল।রবিবার বিকেলে বোলপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলনীতে অনুব্রত মণ্ডল স্বীকার করেন আগের পঞ্চায়েত নির্বাচন না করাটাই ভুল ছিল।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তা নিয়ে বিরোধীরা সরব হন। তাঁরা অভিযোগ করেন, এই কারনে তাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেন নি।সেই ‘সিদ্ধান্ত’ যে ভুল ছিল তা স্বীকার করে নিলেন অনুব্রত।
বিজয়া সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গত পঞ্চায়েত নির্বাচন না করা যে ভুল ছিল, সেই প্রসঙ্গে আক্ষেপ প্রকাশ করে অনুব্রত বলেন, “সামনে পৌরসভা নির্বাচন, সকল টাউন প্রেসিডেন্ট সতর্ক হন৷ ব্লক সভাপতিরা পঞ্চায়েতে বিশেষ নজর দিন৷ এবার ভোট করব৷ মানুষের রায়টা প্রয়োজন। আগেরবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভুল করেছিলাম৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা উন্নয়ন করেছে, মানুষ তাতে মুখ ফেরাবে না৷ ভোট হবে এবার।”
সেই সঙ্গে তার বিতর্কিত মন্তব্য, “যদি কেউ দূর্নীতি করে তাকে শুইয়ে দেব।” জেলায় কোন রকম দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
এদিন মহম্মদবাজার ব্লক সভাপতি তাপস সিংহকে স্পষ্ট নির্দেশ দেন জেলা পরিষদের করা ‘জয়পুর থেকে মোলপুর পর্যন্ত রাস্তায় যেন কোন বালির গাড়ি না যায় সেটা দেখবে। তোর বুথ সভাপতি বলছে ‘কন্টাক্ট’ হয়ে গেছে। এসব হবে না। তুই দেখে নে।’
একই ভাবে ‘নাটের গুরু স্বপন’ কে সাবধান করে দেবার জন্যে জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরীকে নির্দেশ দেন তিনি।
এছাড়াও মহম্মদবাজারে ডেউচা-পাচামি কয়লা প্রকল্পের জন্যে রাজ্য সরকার পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। সেই প্যাকেজ নিয়ে আদিবাসী মানুষজনকে ভুল বোঝাচ্ছে কেউ কেউ৷ তাদের খুঁজে বের করে তাদের বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা শাসককে জানাবার নির্দেশ দেন। দলীয় কর্মীরা যেন কিছু না করে সেই নির্দেশও দেন তিনি। সেই সঙ্গে আদিবাসীদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত পুনর্বাসন বোঝাতে অলচিকি ভাষায় লিফলেট বিলি করার নিদান দিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে স্থানীয় নেতৃত্বের কয়েকজনকে বিশেষ দায়িত্ব দেন।
আউশগ্রামে তৃণমূল নেতা চঞ্চল বক্সিকে গুলি করে খুন করা হয়েছে৷ এই ঘটনায় এদিন এলাকার ৬ তৃণমূল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন অনুব্রত মণ্ডল৷