পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: লালসা নয়, ভালোবাসা। ১৩ বছরের নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্তকে জামিন দিল আদালত। জানা গেছে, ১৩ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল ২৬ বছরের যুবক। জল গড়ায় কোর্ট পর্যন্ত। সেই মামলার পর্যবেক্ষণে অভিযুক্তকে জামিন দিল বোম্বে হাই কোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। আদালতের যুক্তি, ‘নির্যাতিতা’র সঙ্গে ‘অভিযুক্ত’ যুবকের প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক ছিল। আর তা থেকেই তাঁদের যৌন সম্পর্ক হয়। সুতরাং এটা’কে ধর্ষণ বলা চলে না। নাবালিকাকে যে জোরাজুরি করেনি যুবক, তা স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, ২৬ বছরের নীতীন ধাবেরাওকে ভালোবেসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিল ওই নাবালিকা। নীতীন’ও বাড়ি ত্যাগ করে। তবে পুলিশের কাছে নাবালিকার বাবা অভিযোগ করেন, বই কেনার নাম করে বেরোয় তাঁর মেয়ে। আর বাড়ি ফেরেনি। প্রথমে স্থানীয় পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়রি করেন । তদন্তে নেমে নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা ও পকসো আইনে মামলা রুজু হয়।
তবে মামলাচলাকালীন নাবালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, নীতীনের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল তার। এমনকী নীতীন তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। তারপরেই প্রেমিক নীতীনের সঙ্গে ভিন রাজ্যে পালিয়ে গিয়েছিল সে। একসঙ্গে থাকতে শুরু করে তারা। শারীরিক সম্পর্কও হয় দু’জনের মধ্যে। সবকিছুই হয়েছে তার সম্মতিতে।
এদিন সওয়াল-জবাব পর্বের শেষে বিচারপতি উর্মিলা জোশি-ফালকে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। তিনি জানান যৌন সম্পর্কে সম্মতি দেওয়ার জন্য ১৩ বছর বয়স আইনত গ্রহণযোগ্য নয়। তবে নাবালিকার সঙ্গে যুবকের শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি মানসিক ও দৈহিক আকর্ষণ থেকেই হয়েছে। সেটাকে লালশার শিকার বলা যুক্তিযুক্ত নয়। তারা পরস্পরকে ভালবাসত। আর অল্প বয়সের আবেগ থেকেই এহেন কাণ্ড ঘটিয়েছে। এটা ধর্ষণের আওতায় পরে না।