পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বলা হয় রোম যখন পুড়ছিল সম্রাট নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বললেন বেসরকারিকরণ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, ব্যাঙ্ক যদি গ্রাহকের অর্থ পরিশোধ করতে অসমর্থ হয়, তাহলে সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্রের।
এখানেই প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। ২০১৪ সালে আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখিয়ে প্রথম ক্ষমতায় আসেন মোদি। প্রাক নির্বাচনী প্রচারে দেশবাসীকে বোঝানো হয়েছিল বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে শুধু আচ্ছে দিনই নয় দেশবাসীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১৫ লক্ষ করে টাকা। এটা যে কতবড় ধোঁকা তা দেশবাসী এতদিনে বুঝেছেন।
এরপরের পদক্ষেপ হল ২০১৬ সালে নোটবন্দী। রাতারাতি নোটবন্দীর পেছনে মোদি সরকারের যুক্তি ছিল দেশে ফিরবে কালো টাকা। কোথায় কি! আক্ষরিক অর্থেই পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক কে পথে বসিয়ে হাসতে হাসতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান নীরব মোদি , মেহুল চোকসিরা।
দু দফার মোদি সরকারের আমলে একের পর এক কেন্দ্রীয় সংস্থার বেসরকারিকরণ হয়ে চলেছে। জিডিপি ঠেকেছে তলানিতে। পেট্রপণ্য এবং নিত্য ব্যবহার্য জিনিষের দাম আকাশছুঁয়েছে।
এবার ব্যাঙ্কগুলির বেসরকারিকরণের জন্য মরীয়া হয়ে উঠেছে কেন্দ্র। রবিবার ‘ব্যাংক আমানত বিমা’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ক্ষমতায় আসার পর নিয়ম বদলেছি। আমরা ব্যাংক ডিপোজিটের বিমার পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করে দিয়েছি।” প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, মধ্যবিত্তদের ভীতি দূর করতে ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে যাতে গ্রাহকরা তাঁদের টাকা ফেরত পান, সেটা নিশ্চিত করবে তাঁর সরকার।‘’’
দেশের অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে প্রধানমন্ত্রী নিজেও বুঝছেন এই ফাঁকা বুলিতে আর চিঁড়ে ভিজবেনা। তাই কৃষি আইন প্রত্যাহার থেকে গ্রাহকদের অর্থ সুরক্ষিত রাখার মত একের পর এক ঘোষণায় চেষ্টা করছেন ক্ষতে মলম দেওয়ার।