পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : বিগত দুই বছর ধরে করোনা অতিমারির তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল মানুষের জীবন। বাড়ির বাইরে বের হলেই সর্বদা, প্রায় সর্বত্রই মাস্ক পরার নির্দেশিকা জারি ছিল। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী এই নির্দেশিকার আওতায় ছিল বিমানবন্দর। কারণ বিমান বন্দরে বহু যাত্রীর আনাগোনার কারণেই বিশেষ নজরদারি ছিল।
চলতি বছরের প্রথম থেকেই কিছুটা স্বস্তি দিয়ে করোনার প্রকোপ কমতে থাকে। সমস্ত দিক বিচার করে এবার বিমান বন্দরে মাস্ক পরার নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হল। বুধবার, ১৬ নভেম্বর অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক জানিয়েছে, বিমান যাত্রার ক্ষেত্রে মাস্ক পরা আর বাধ্যতামূলক নয়। তবে যাত্রীদের সুরক্ষায় এরপরও ফেস মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রক। এতদিন পর্যন্ত বিমান যাত্রার সময় ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে বাধ্য ছিলেন যাত্রীরা। এবার সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।
এদিন উড়ান সংস্থাগুলিকে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। মন্ত্রক জানিয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির মোকাবিলায় নেওয়া ব্যবস্থাগুলি ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে যোগসূত্র রেখেই এবার মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।
মন্ত্রকের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এখন থেকে ফ্লাইট-এর ঘোষণায় কোভিড-১৯’ এর প্রেক্ষিতে সমস্ত যাত্রীদের অবশ্যই মাস্ক বা ফেস কভার ব্যবহার করা উচিত, শুধুমাত্র এটাই বলা যাবে।’
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৫০১ জন। চিকিৎসাধীন কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৭,৯১৮ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৭,৫৬১-তে। মহামারির শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত ভারতের মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা ৪,৪৬,৬৬,৬৭৬।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই কোভিড রোগীর মৃত্যু হওয়ায়, ভারতের এই রোগে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫,৩০,৫৩৫-এ। চিকিৎসাধীন কোভিড রোগীর সংখ্যাটা এখন মোট কোভিড রোগীর সংখ্যার মাত্র ০.০২ শতাংশ। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৭৯ শতাংশ। মৃত্যর হার এখন ১.১৯ শতাংশ।