পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সোমবার রাতে ফিলিস্তিনের গাজায় ফের ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলাটি হয়েছে। ঘোষণা ছাড়াই ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছে গাজার প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। তারা বলেছে, হুঁশিয়ারি না দিয়ে আক্রমণ করা হলে প্রতিটি হামলার জন্য গাজায় বন্দী ইসরাইলিদের একজন করে হত্যা করা হবে। অন্যদিকে তীব্র খাদ্য সংকটে গাজা। শনিবার থেকে গাজা উপত্যকায় কোন ত্রাণ আসেনি। সোমবার ইসরাইল এই অঞ্চলে ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ ঘোষণা করেছে– তারা বলেছে যে বিদ্যুৎ, খাদ্য, জ্বালানি এবং জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। ইসরাইল, গাজার আকাশসীমা এবং এর উপকূল নিয়ন্ত্রণ করে, এবং কারা বা কী ধরণের পণ্য এর সীমানা অতিক্রম করতে পারবে তাও নিয়ন্ত্রণ করে।
মিশর গাজার সীমান্ত দিয়ে মানুষ বা যেকোনো পণ্যের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। শনিবার সকালে হামলা শুরুর পর থেকে ইসরাইল গাজায় খাদ্য ও ওষুধসহ সব ধরনের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত। কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে যে ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকার জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে। রাষ্ট্রসংঘ মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ সতর্ক করে বলেছে যে, অবশিষ্ট জ্বালানি দিয়ে হাতে গোনা কয়েক দিন মাত্র চলা যাবে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, ইসরাইলের পদক্ষেপের কারণে হাসপাতালগুলো ওষুধ, চিকিৎসা সরবরাহ এবং জ্বালানির ঘাটতির মুখে পড়েছে। এদিকে ইসরাইল অব্যাহতভাবে গাজায় বোমা ও গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে।